• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ফেব্রুয়ারি মাসে সাড়ে ৪ সেন্টিমিটার ফাঁসের সুতার জাল দিয়ে ইলিশ ধরার দাবিতে

জেলা প্রশাসককে জেলে ও নৌকা মালিকদের স্মারকলিপি

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচলিত সাড়ে ৪ সেন্টিমিটার ফাঁসের সুতার জাল দিয়ে ইলিশ মাছ ধরার দাবিতে জেলে ও নৌকার মালিকদের পক্ষে চাঁদপুর কান্ট্রি ফিসিং বোট মালিক সমিতি ও চাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। জানা যায়, চাঁদপুর জেলার হাজার হাজার জেলে ও নৌকার মালিক ১৯৫০ সনের মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ১৯৮৫ সনের সংশোধিত বিধিমালা ১২ মোতাবেক সাড়ে ৪ সে.মি. ফাঁসের সুতার জাল দিয়ে ইলিশ মাছ ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তখন জাটকার সরকারিভাবে সাইজ ছিল ৯ ইঞ্চি। ২০১৩ সালে সরকারিভাবে জাটকার সাইজ ১০ ইঞ্চি নির্ধারণ করা হয়। জালের ফাঁস বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ইলিশ ধরার সুতার জালের সাইজ সরকারিভাবে সাড়ে ৬ সে.মি. নির্ধারণ করা হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ছোট প্রজাতির মাছের পোনা রক্ষায় কম্বিং অপারেশনের প্রচারণার সময় বিষয়টি ইলিশ জেলে ও নৌকা মালিকরা জানতে পারে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে এই স্বল্প সময়ে জেলে নৌকার মালিকদের পক্ষে সাড়ে ৬ সে.মি. সুতার জাল তৈরি করা সম্ভব নয়। অক্টোবর মাসে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান, এরপর শুষ্ক মৌসুমের কারণে প্রায় ৪ মাস ধরে ইলিশ ধরার জাল ও নৌকাগুলো বন্ধ রয়েছে। জেলে ও নৌকার মালিকরা ধারদেনা করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মালিকরা দাদন নিয়ে, ধার দেনা করে প্রচলিত সাড়ে ৪ সে.মি. জাল ও নৌকা মেরামত করে জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিলে অভয়াশ্রমের পূর্বে শীতকালীন মৌসুমে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নেয়। জানুয়ারি মাসে সাড়ে ৬ সে.মি সুতার জালের ফাঁসের বিষয়টি মৎস্য বিভাগ প্রচার করায় জেলে ও নৌকার মালিকদের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। ৪ মাস বন্ধ থাকার পর টাকার অভাবে সাড়ে ৬ সে.মি ফাঁসের সুতার জাল তৈরি করতে না পায়ায় জেলার হাজার হাজার জেলে চলমান শীতকালীন মৌসুম ইলিশ ধরতে পদ্মা-মেঘনায় যেতে পারছে না। তাই জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচলিত সাড়ে ৪ সে.মি. ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় দিলে হাজার হাজার জেলে পরিবার বাঁচবে। অন্যথায় তাদের এপ্রিল পর্যন্ত বেকার থাকতে হবে।


গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শত শত জেলে নৌকার মালিক শহরের শপথ চত্ত্বরে সমবেত হয়ে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে সাড়ে ৪ সে.মি. ফাঁসের সুতার জাল দিয়ে ইলিশ ধরার সময় প্রদানের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন। চাঁদপুর কান্ট্রি ফিসিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম মলি্লক ও চাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি তছলিম বেপারীর নেতৃত্বে জেলে ও নৌকার মালিকরা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় তাঁদের সাথে ছিলেন চাঁদপুর কান্ট্রি ফিসিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিজি, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরদার, জেলে নৌকার মালিক কামাল দেওয়ান, ফজলু বেপারী, রইজউদ্দিন দেওয়ান, কুদ্দুস মিজি, আলী আহমেদ মাল, হাবিব সরকার, জাহাঙ্গীর মাঝি, কাদির মোল্লা, মৎস্যজীবী নেতা মালেক সরদার, দুলাল সরদার, এমরান হোসেন, হাছান প্রধানীয়া প্রমুখ।

 

সর্বাধিক পঠিত