• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

প্রার্থীদের আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে : জেলা প্রশাসক

২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ : পুলিশ সুপার

প্রকাশ:  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আসছে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের সকল পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্ততি সম্পন্ন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে আচরণবিধি এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনাতয়নে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ।

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রার্থীদের আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রার্থীগণ দায়িত্বশীল হলে কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে না। নির্বাচনী পরিবেশ নির্ভর করছে আপনাদের (প্রার্থী) আচরণের উপর। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা হবে, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা আপনাদের (প্রার্থী) কাছে এসেছি। ইতিমধ্যে ২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা (প্রশাসন) বদ্ধপরিকর। নয়তো আমরা কঠোর হবো। পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচনের দিন আরো ১২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। অমূলক অভিযোগ দিবেন না। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ দিন, বিধি অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোনো প্রার্থীর প্রতি অমূলক অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিবেশ বা প্রার্থীকে হয়রানি করবেন না।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, হাজীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। পৌরসভার ৪৫ হাজার ৩৪৮ জন ভোটার ২০টি কেন্দ্রে ভোট দিবেন। প্রার্থীদের সমন্বয় থাকলে কোনো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে না। আমাদের সমন্বয়ে (প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ) সুষ্ঠু, সুন্দর একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কোনো ব্যত্যয় ঘটাবে না। এটা কোনো জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচন। সুতরাং পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স রয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে ১৩জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। থাকবে আনসার, র‌্যাব ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষ পাবেন, সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। অপরাধী যেই হোক তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে কোনো অনিয়ম বা অপরাধ করার সুযোগ নেই। আমরা কে, কী আচরণ করছি, তা হাতে থাকা এই মোবাইলের মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে যায়। মুহূর্তে সংবাদমাধ্যম অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশের কেউ জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সম্প্রতি পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলার কথা উল্লেখ করে মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে এবং এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার বিষয়ে অন্য কাউকে হয়রানি করা হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামাল হোসেন, রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা আক্তার, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন রনি। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান খান বাচ্চু।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর প্রার্থী রায়হানুর রহমান জনি, হাবিবুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, মোহাসীন ফারুক বাদল, কাজী মনির, সাদেকুজ্জামান মুন্সী, শারমিন সুলতানা মিনু ও মমতাজ বেগম মুক্তা, গণমাধ্যমকর্মী খালেকুজ্জামান শামীম, এনায়েত মজুমদার প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত