• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি সেচ নিষ্কাশন ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

প্রকল্পের চিহ্নিত সমস্যাসমূহ পর্যায়ক্রমে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি : নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার

প্রকাশ:  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

দেশের অন্যতম বৃহৎ সেচ প্রকল্প মেঘনা-ধনাগোদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। এ বাঁধ ৬০ কিলোমিটার নদীবেষ্টিত এলাকা নিয়ে গঠিত। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে এ বাঁধ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো অত্যন্ত মহৎ। কিন্তু বাঁধ এলাকার কৃষক সুফল পেতে শুরু করলেও কিছু সংখ্যক অসাধু ও স্বার্থান্বেষী মহল বাঁধের উপর ও ভেতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে দোকানপাট ও বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে আসছে। প্রকল্পের ভেতর সাড়ে সতেরো হাজার হেক্টরের মধ্যে প্রথমে তের হাজার হেক্টর ভূমিতে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়। এখন আস্তে আস্তে কমে মাত্র ৫/৬ হাজার হেক্টরে নেমে এসেছে।


এমননিভাবে দখলদারিত্ব চলতে থাকলে আগামী দশ বছরের মধ্যে এটি হবে হোম প্রকল্প। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা হবে বাধাগ্রস্ত। প্রকল্পবাসীও হবে ক্ষতিগ্রস্ত। অপরদিকে দেখা গেছে, বাঁধ সৃষ্টির পর এ পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন খালগুলো পুনঃখনন হয়নি, যদিও হয় ২/৪টি। খালগুলো পুনঃখনন না হওয়ার কারণে সেচে সমস্যা হয় এবং বর্ষা ও বৃষ্টি মৌসুমে প্রকল্পের নিচু জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কৃষকের রোপা ধান ও অন্যান্য ফল-মূল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।

এসব জটিলতা কমিয়ে আনার জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ, পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন, এসোসিয়েশন ও পানি ব্যবস্থাপনা দলগুলো বৃহস্পতিবার ১৪ জানুয়ারি দিনব্যাপী যৌথ পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শুরু হয় উদ্দমদী পাম্প হাউজ হতে। তারপর গাজীপুর, পশ্চিম বাইশপুর, চরহরি গোপ, সিপাইকান্দি, ঠেটালিয়া, সাহেববাজার, বারহাতিয়া, রসুলপুর টেঙর, নয়াকানি, টরকি, ইসলামাবাদ ও নন্দলালপুরসহ অনেক স্থানের সেচ ক্যানেল ও পানি নিষ্কাশন খাল যৌথভাবে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রকল্পে যে সমস্ত সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে তা আমরা পর্যায়ক্রমে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ পানি ফেডারেশনের সভাপতি, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন বাস্তবায়ন করার জন্যে এবং এ প্রকল্পের মানুষকে নির্বিঘ্নে, নিরাপদে বসবাসের সুবন্দোবস্ত করার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।

কর্মকর্তাদের পরিদর্শনকালে পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার সরকার মোঃ আলাউদ্দিন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, এসও জামাল হোসেন, সালাউদ্দিন, আতিকুর রহমান, আলমাছ ও তন্বয়সহ পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সর্বাধিক পঠিত