• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা : জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ

বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিলো

প্রকাশ:  ১১ জানুয়ারি ২০২১, ১১:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

১০ জানুয়ারি রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা বারোটায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।


সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুননাহার চৌধুরী, পিপি অ্যাডঃ রণজিৎ রায় চৌধুরী প্রমুখ।

সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামাল হোসেন, আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিম, এনএসআই'র উপ-পরিচালক আরমান আহমেদসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউএনওগণ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। সেদিনই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিলো। তখন বাঙালি জাতি অধীর আগ্রহে বসেছিলো কখন জাতির পিতা আসবেন। বাঙালিরা কিন্তু আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা লোকে লোকারণ্য ছিলো। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন জাতির পিতাকে একনজর দেখার জন্যে।

তিনি বলেন, ২৯০ দিন তিনি পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি ছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি মুক্ত হলেন এবং পাকিস্তান থেকে প্রথমে গেলেন লন্ডন। সেখান থেকে দিল্লী হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন। সেদিন বাঙালি জাতির যে আবেগ, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, অন্ধকার থেকে আলোতে আজকে পদার্পণ করলাম। এই ভালোবাসার ঋণ রক্ত দিয়ে হলেও পরিশোধ করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি তা করে গিয়েছিলেন। আপনারা জানেন পঁচাত্তর সালে যে ঘটনা ঘটলো, দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে সপরিবারে হত্যা করলো। এর কারণটা হচ্ছে তিনি মাথা নত করেননি। তিনি যদি মাথা নত করতেন তাহলে সপরিবারে তাঁকে জীবন দিতে হতো না। তিনি বাঙালি জাতির জন্যে রক্ত দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে গেছেন। আজকে যে কাজটি আমাদেরকে করতে হবে, সেটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নেয়া। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে যার যার দায়িত্ব এবং কর্তব্য যদি আমরা পালন করি তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ সোনার বাংলা এমনিতেই হয়ে যাবে।

সর্বাধিক পঠিত