• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

আবারও ধসে পড়েছে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ

প্রকাশ:  ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আবারও ধসে পড়েছে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ। ২৬ ডিসেম্বর শনিবার ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের জনতাবাজার সংলগ্ন এলাকায় দ্বিতীয় বারের মতো বেড়িবাঁধ ধসে পড়তে থাকে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে প্রথম একই এলাকায় বেড়ি বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমান ধসে পড়ার খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ বালুর বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে ধসে পড়া স্থান মেরামত করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তারা শনিবার সকালে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। দেখা যায় বেড়িবাঁধটির দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ের অন্তত ১৫০/২০০ ফুট জায়গা মেঘনার দিকে ধসে পড়েছে। বিষয়টি পাউবো কর্তৃপক্ষকে মুঠোফোনে জানানো হয়। পাউবোর প্রকৌশলী ও লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় বালুর বস্তা ফেলে ধসে পড়া স্থানটি মেরামত করেন। এ সময় বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, ১৯৮৮ সালে সেচ প্রকল্পের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মূল বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দু'বার এটি ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়। তিনি অভিযোগ করেন, চাঁদপুর পাউবোর দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে এবারও বাঁধটিতে বিরাট ধস নামে।

সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, মেঘনার পানির চাপে বেড়িবাঁধটির ৫০মিটার এলাকা ধসে গেছে। ধস ও সম্ভাব্য ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বালু ভর্তি জিও টেঙ্টাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এতে স্থানটি আপাতত ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। পরে স্থায়ীভাবে বাঁধের স্থানটি মেরামত করা হবে।

বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে বাঁধের অভ্যন্তরের বাসিন্দারা। শুস্ক মৌসুম হওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকলেও মানুষের মনে স্বস্তি নেই। বর্ষার আগে যদি বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো মেরামত করা না যায়, তাহলে বেড়িবাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত