চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী হয়রানির শেষ কোথায়?
প্রতিযোগিতা দিয়ে যাত্রীদের পেটায় কুলি ও ইজারাদারের লোকজন


চাঁদপুর লঞ্চঘাটে চরম নৈরাজ্য ও অরাজকতা বিরাজ করছে। ঘাটের কুলি এবং ইজারাদারের লোকজন একত্রিত হয়ে যাত্রীদের হেনস্থা করছে, মারধর করছে। যাত্রীরা এই সংঘবদ্ধ দুষ্ট চক্রের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। ঘাটে কুলি এবং ইজারাদারের লোকজনের যোগসাজশে এই নৈরাজ্য পুলিশের হস্তক্ষেপেও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটটি ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চল নৌ রূটে চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম লঞ্চঘাটে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় দুই ডজনের মতো বড় বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ চাঁদপুর লঞ্চঘাট ধরে নদীপথে চলাচল করে থাকে। হাজার হাজার যাত্রী এই লঞ্চগুলোতে আসা-যাওয়া করে থাকে। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে ঘাটের পন্টুনে পা রাখামাত্র হুমড়ি খেয়ে পড়ে কুলিরা। শুরু হয়ে যায় ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে টানাটানি। এসব বহন করার জন্য একদিকে করে কুলিরা ব্যাগ নিয়ে টানাটানি, অপরদিকে ঘাটের টোলের জন্য ইজারাদারের লোকজন ঘিরে ধরে যাত্রীদের। শুরু হয়ে যায় টানাহ্যাঁচড়া। এই ব্যাগ বা লাগেজ টোলের আওতায় পড়ে কি না সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। দেখা গেছে যে, যাত্রী নিজে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে তার ব্যাগ বা মালামাল, তারপরও বেরিকেড ইজারাদারের পালিত লোকজনের। তাদের দাবি- ঘাটের টোল দিয়ে যেতে হবে। অথচ এটা কোনোভাবেই টোলের আওতায় পড়ে না। আর এই অন্যায়, অবৈধ এবং অনৈতিক কাজটি চলে আসছে দিনের পর দিন। এখানে বিআইডবিস্নউটিএ কর্মকর্তা রহস্যজনকভাবে নীরব থাকেন। অথচ কুলিদের গায়ে পরা পোশাকে লেখা থাকে বিআইডবিস্নউটিএ, ঘাট ইজারাদার শ্রমিক। অভিযোগ রয়েছে, বিআইডবিস্নউটিএ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব অনিয়ম হচ্ছে।
এদিকে যাত্রীরা যখন কুলি বা ইজারাদারের লোকজনের চাহিদামতো টাকা দিবে না তখনই তারা সম্মিলিতভাবে যাত্রীদের উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে মারধর করা শুরু করে। এমন ঘটনা এখন প্রায়ই ঘটে যাচ্ছে। এসব বিষয় ইজারাদারের নজরে আনলে তিনি উল্টো হুমকি দেন যাত্রীদের। বলেন, ৬০ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা এনেছি। তাই যে কোনো মূল্যে আমার এই টাকা তুলতে হবে।