চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হলো বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ


বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল রোববার সকালে চাঁদপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও চাঁদপুর শিশু একাডেমির সহকারী পরিচালক কাউছার আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের পক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার অলিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
অলিদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিশু বড় হয়ে ওঠা এবং জ্ঞান বিকাশে মা বাবার ভূমিকাই মুখ্য। যেমন আমি আমাকে দিয়েই উদাহরণ দিতে পারি। তিনি বলেন, আমরা ৮ ভাই সবাই মাস্টার্স তথা উচ্চতর ডিগ্রিধারী। কিন্তু আমার মা শুধু নিজের নামটি লিখতে পারেন আর বাবা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। আর যে গ্রামে থেকে বড় হয়ে উঠেছি, সেটি অজপাড়া গাঁ। বিদ্যুৎহীন গ্রাম ছিলো। লুঙ্গি পরে স্কুলের পাঠ শেষ করেছি। শিক্ষকের মার আর প্রচ- শাসনে বড় হয়েছি। এ পর্যন্ত আসার পেছনে বাবা-মায়ের অবদান কতোটা তা আমি বুঝাতে পারবো না। তিনি বলেন, সন্তানকে কখনোই অধিকার বঞ্চিত করবেন না। সাধ্য অনুযায়ী তাদের মঙ্গলের জন্য করে যাবেন। মনে রাখতে হবে সন্তানই আপনার বড় বিনিয়োগের জায়গা।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ বলেন, সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করুন। আর সুশিক্ষিত বলতে একাডেমিক লেখাপড়া বুঝায় না। তাকে ধর্মীয়, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করুন।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিশুর প্রতি ভালো আচরণ করুন। জাতিসংঘ স্বীকৃত কিংবা দেশে প্রচলিত যেসব অধিকার তার আছে, তার সব না দিতে পারেন, ন্যুনতমও বাস্তবায়ন করুন। শিশুর প্রতি কখনোই নির্দয় হবেন না। আপনার আদর ভালোবাসা তার অধিকার প্রাপ্তির একটা বিরাট অংশ।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ বলেন, এই মহামারী করোনাকালে অনেক শিশুই তার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের অভয় দিন। মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখুন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিশু একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক মৃনাল সরকার, নৃত্য প্রশিক্ষক ফাতেমা তুজ জোহরা অমি, অফিস সহকারী গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
আলোচনা শেষে এই সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী ৩৩ শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।