• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০২০, ২০:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

অবশেষে বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত পৌর এলাকার ৫২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। তবে এ নির্বাচনে সবচেয়ে চমক হচ্ছে নির্বাচনী কোনো সহিংস ঘটনার জন্যে কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি।
পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলো। এ জন্যে আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
বহুল প্রত্যাশিত এ নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল দিনভর ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ পর্যবেক্ষণ করেছেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। রাস্তায় র‌্যাব, বিজিবি ও ডিবি পুলিশের টহল ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আক্কাছ আলী রেলওয়ে একাডেমী, গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও সব্দার খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তাবেষ্টনী জোরদার থাকায় বড় ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
গতকাল ১০ অক্টোবর শনিবার চাঁদপুর পৌরসভার বহুল আলোচিত এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১৫টি ওয়ার্ডের ৫২টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। তবে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি ভোটার ও উপস্থিতিদের মাঝে।
সকাল থেকে ওসমানিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা, মধুসূদন হাইস্কুল, পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নূরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বাবুরহাট সরকারি শিশু পরিবার, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজ, শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়, টেকনিক্যাল হাইস্কুল, ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়, ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নির্বিঘœ রাখতে এ নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এপিবিএন ও আনসার টিমের নেতৃত্ব থাকা জেলা প্রশাসনের ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে টহল দিতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে ৩ জন মেয়র, ৫০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ৪শ’ ৮৭ জন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ১শ’ ৪৪ জন ও মহিলা ভোটার ৫৮ হাজার ৩৪৩ জন।