• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রও ঝুঁকিপূর্ণ নয় : অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আমি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হলেও দল-মত নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সেবায় কাজ করবো। শহরের যানজট সমস্যা দূরীকরণ, বর্জ্যব্যবস্থাপনার পরিবর্তন এবং পৌর অডিটোরিয়াম খুব সহসাই চালু করা হবে।'


চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল ১৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহারে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 


গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার জেএম সেনগুপ্ত রোডে অবস্থিত নৌকা মার্কার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

 


চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপুর সভাপ্রধানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

 


এ সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহির হোসেন পাটোয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ হারুন অর রশিদ (সাগর)সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 


নির্বাচনী ইশতেহারে অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল উল্লেখ করেন, মেয়র পদে নির্বাচিত হলে আগামী পাঁচ বছরে

 


তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন করবেন। শহরের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও যানজট নিরসনসহ আরো যেসব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সেগুলো তিনি পরিকল্পনা মোতাবেক বাস্তবায়ন করবেন এবং পৌর অডিটোরিয়াম চালু, ভর্তুকি দেয়া পৌরসভার পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের উদ্যোগ তিনি নেবেন।

 


মেয়র প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েল তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচীনতম একটি পৌরসভা চাঁদপুর। কিন্তু আশানুরূপভাবে এই পৌরসভার খুব বেশি উন্নয়ন হয়নি। আগামী ১০ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে আমি মেয়র নির্বাচন করছি। এই নৌকা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার প্রতীক। এই দেশের জনগণ নৌকার প্রতি আস্থা রেখেছে বলেই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর পৌরসভাকে একটি আধুনিক, উন্নত, ব্যবসাবান্ধব ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করছি। আমি কথা দিচ্ছি, মেয়র নির্বাচিত হলে চাঁদপুর পৌরসভাকে কেবল দুর্নীতিমুক্ত করবো না, একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।

'প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী পৌরসভা নির্বাচনের সকল কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করছেন'-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, এই নির্বাচনে একটি কেন্দ্রও ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এখন পর্যন্ত এক প্রার্থীর সাথে অন্য কোনো প্রার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। বরং আমি নিজে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সাথে কুশল বিনিময় করেছি, তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আমার নিজের ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিয়েছি। এই নির্বাচনে যে সৌহার্দ্য-সমপ্রীতির পরিবেশ বিরাজ করছে তা আমাদের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে। আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই নির্বাচনটি যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা বস্তুনিষ্ঠতার সাথে সংবাদ উপস্থাপন করবেন। আমরা নৌকার প্রার্থী, নেতা-কর্মী-সমর্থকরা একটি সুন্দর-সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি। আর সেজন্যে সাংবাদিকদের কাছে এ সহযোগিতা কামনা করছি।

শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, চাঁদপুরে নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের সবাই এক এবং অভিন্ন। আগামী ১০ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে ইনশাল্লাহ।

সাংবাদিকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন রেখে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, অধ্যক্ষ জালাল চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া জীবন, শহীদ পাটোয়ারী, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, সাংবাদিক দেলোয়ার আহমেদ, পার্থনাথ চক্রবর্তী, আবদুল আউয়াল রুবেল, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তালহা জোবায়ের, মতলবের আলোর সম্পাদক কেএম মাসুদ প্রমুখ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের অর্ধ শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।