• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

৪নং ওয়ার্ডের সর্বশেষ নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক

চাঁদপুর পৌরসভাকে দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে কাজ করবো : অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৩১ | আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আসন্ন চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে সর্বশেষ নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়। শেষদিনের কর্মসূচিতে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নতুনবাজারস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে সভা করেন এবং এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় পুরাণবাজারস্থ ৪নং ওয়ার্ডের গফুর মিজি বাড়িতে উঠোন বৈঠক করেন। দুপুর ১২টায় জাফরাবাদে গণসংযোগ করেন। বিকেল ৪টা থেকে বেপারী বাড়ি, মোস্তাক হায়দার চৌধুরী বাড়ি, মজু বেপাারী বাড়ি, দেওয়ান বাড়ি ও মিজি বাড়িতে একের পর এক উঠোন বৈঠকে মিলিত হন। মধ্য শ্রীরামদীতে শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ নূরুল ইসলাম নূরুর মমিনবাগস্থ বাড়িতে ৪নং ওয়ার্ডের সবশেষ উঠোন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় চাঁদপুর গ্রীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক এবং কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।


৪নং ওয়ার্ডে উঠোন বৈঠককালে তিনি বলেন, পুরাণবাজারবাসীর সাথে আমার যে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে, সেটি হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। অতএব, আপনারা নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করলে আপনাদের পুরাণবাজারবাসীর সন্তান এ প্রতীকে বিজয়ী হবে। আপনাদের সন্তান হিসেবে সবসময় আমাকে পাশে পাবেন।

 


তিনি বলেন, আমার সাথে পুরাণবাজারের আত্মার সম্পর্ক বেশ কয়েকটি কারণে রয়েছে। যেমন আমার বাবা কর্মজীবনের প্রথমে এখানে শিক্ষকতা করেন, গফুর মিয়ার বাড়িতে আজকের এই অনুষ্ঠানে আমার বাবার দুজন ছাত্র রয়েছেন। আমার বাবা একসময় ব্যাংকে চাকুরি করতেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরাণবাজারে পপুলার ফুড প্রোডাক্ট নামে বিস্কুট ফ্যাক্টরী করেন। সে ব্যবসা দীর্ঘদিন ছিলো। এমন পিতার সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে ভোট চাই।

 


তিনি আরো বলেন, এই প্রথম দলীয় প্রতীক ও ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আপনারা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিবেন। ইভিএম পদ্ধতি হলো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন। এই মেশিনে আপনার ভোট অন্য কেউ দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। কেননা আপনার আঙ্গুলের ছাপই আপনাকে দিতে হবে। আমাকে বিজয়ী করতে হলে ভোটের দিন আপনারা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

 


তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গাতেই আমার পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তারপরও আমি আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার জন্যে নির্দেশ দিয়েছি। কেননা আমি চাই সবার অংশগ্রহণে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই ইভিএম পদ্ধতিতে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক। ১০ অক্টোবর আপনারা যদি ভোট কেন্দ্রে না যান তাহলে আমি বিজয়ী হয়ে আপনাদের কোনো কাজ করতে পারবো না। আমাকে বিজয়ী করতে হলে ভোটের দিন আপনাদেরকে সকলকে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। অনেক প্রার্থীর লোকজন অনেক কথা বলবে, আপনারা কোনো কথায় কান দিবেন না। একজন প্রার্থী যে কোনো দল থেকে মনোনয়ন পেতে পারে। প্রার্থী দলের হতে পারে। তবে তার নির্দলীয়ভাবে কাজ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আপনাদের এলাকার রাস্তাঘাট ও ড্রেনের সমস্যা দূর করবো। ড্রেন যদি না করা হয়, রাস্তা করে কোনো লাভ হবে না। তাই আগে পানি নিষ্কাশনের জন্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে আমি গুরুত্ব দিবো। এরপর রাস্তার কাজ করে দিবো।

এ সময় তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের মার্কা নৌকা। আজকে আমি ৪৮ বছর বয়সে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছি। আমি চাই মেয়র হয়ে চাঁদপুর পৌরসভার সকল উন্নয়ন কর্মকা- করতে পারবো। আমাদের কাজ হবে রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনের সমস্যা দূর করে উন্নয়ন করা।

তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, একজন ভালো পোশাক পরা ও দামী গাড়িতে চড়া ব্যক্তির যেমন একটা ভোট, তেমনি একজন ঘাম ঝরানো শ্রমিকেরও একটা ভোট। তাই দামী পোশাক পরা ব্যক্তি আমার সাথে চা খেয়ে সমস্যার কথা বলবে, তেমনি একজন ঘাম ঝরানো মেহনতী শ্রমিকও আমার সামনে বসে চা খেয়ে তার সমস্যার কথা বলবে। আমি চাঁদপুর পৌরসভাকে দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে কাজ করবো।

উঠোন বৈঠকগুলোতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভঁূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম নূরু, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, সাবেক যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য মকবুল হোসেন মিয়াজী, কাউন্সিলর প্রার্থী খালেদা রহমান ও মামুনুর রহমান দোলন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডঃ হাবিবুর রহমান লিটু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবুল হোসেন বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির খান, গোলাম মোহাম্মদ মাস্টার, জসিম উদ্দিন মিজি, নাজির পাটওয়ারী, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক সাবি্বর হোসেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোঃ হান্নান মিয়াজী। পরিচালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বিপ্লব।