• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে নকল মিটারের সংযোগ দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ!

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০২০, ০৮:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রাহক সাধারণ। আবেদন নিবেদন করেও মিটার না পাওয়ার সুযোগে একটি দালাল চক্র বাজার থেকে নকল মিটার সংগ্রহ করে দিয়েছে গ্রাহকের বাড়িতে। আসল মিটার না পেয়ে বিল পরিশোধ নিয়ে বিপাকে পড়েছে এক গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জের পশ্চিম গাব্দেরগাঁও গ্রামের খোকন বেপারীর বসত ঘরে।


বসত বাড়িতে নকল মিটারের কোন নথিপত্র অফিসে না থাকায় নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় অবশেষে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায় গতকাল। গত প্রায় ৮ মাস যাবৎ ওই নকল মিটারেই বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিল না দিতে পেরে বিপাকে আছে ওই গ্রাহক। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট দালালের মাধ্যমে প্রতি মিটার বাবদ ২শ' কিংবা ৫শ' টাকা না পেলে মিটার সংযোগের আবেদনটি বাতিল করা হয়। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের রয়েছে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার গ্রাহক।

 


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গাব্দেরগাঁও গ্রামের খোকন বেপারী নামে এক ব্যক্তিকে গত প্রায় ৮ মাস আগে তার বসত বাড়িতে তিনটি খুঁটির মাধ্যমে একটি নকল মিটার সংযোগ দেয় এ উপজেলারই সাচিয়াখালি গ্রামের জনৈক সেলিম নামের এক ইলেকট্রিশিয়ান। নকল মিটারটি সংযোগের পর প্রতি মাসেই ওই এলাকার মিটার রিডার জহির যথানিয়মে মিটারের রিডিং নিচ্ছেন। নকল মিটারের সংযোগের পর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোনো বিল প্রেরণ না করার বিষয়টি স্বয়ং খোকন বেপারী ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম-এর নজরে আনেন। কিন্তু গত প্রায় ৮ মাসে চেষ্টা করেও পল্লী বিদ্যুতের নির্ধারিত মিটার না পাওয়ায় বিল পরিশোধ করতে পারছে না ভুক্তভোগী খোকন বেপারী।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোকন বেপারীর বাড়ির দেয়ালে সাঁটানো রয়েছে নকল মিটার। আর এই নকল মিটারের মাধ্যমেই চলছে তার বাড়িতে বিদ্যুৎ।

এ নিয়ে খোকন বেপারী বলেন, তার বাড়িতে সেলিম নামের একজন ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে নকল মিটার সংযোগের বিষয়টি ডিজিএমকে জানানো হয়েছে। আসল মিটার দেই দিচ্ছি বলে শুধু আশ্বস্ত করছে ডিজিএম।

তবে ইলেকট্রিশিয়ান সেলিম মিজি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, খোকন মিয়ার বাড়ির কাজ আমি করলেও ওই বাড়িতে নকল মিটার সংযোগের বিষয়টি আমি জানি না।

পল্লী বিদ্যুতের ফরিদগঞ্জের ডিজিএম মোঃ নুরুল হোসাইন গতকাল তার কার্যালয়ে এ প্রতিনিধিকে বলেন, নকল মিটার সংযোগের বিষয়টি জেনে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম আরো বলেন, মিটার সংযোগের বিষয়ে কেউ যদি আমার কথা বলে টাকা নেয় তাহলে তার হাত-পা বেঁধে খবর দিতে বলেন।


এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জিএম দেব কুমার মালো গতকাল রোববার এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিষয়টি জেনে আমি আজই (রোববার) ফরিদগঞ্জের ডিজিএমকে বলেছি যে, নকল মিটারের ওই লাইন সংযোগ কেটে দিয়ে উক্ত বিষয়ে থানায় রিপোর্ট দিতে।

 

সর্বাধিক পঠিত