• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

৮নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক

নির্বাচিত হলে কোনো দল বা সিন্ডিকেটের নয়, পৌরবাসীর মেয়র হবো : জিল্লুর রহমান জুয়েল

প্রকাশ:  ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১৪:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল গতকাল শনিবার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে সকাল থেকে ব্যাপক গণসংযোগ ও বেশ কটি উঠোন বৈঠক করেছেন। উঠোন বৈঠকগুলো এক পর্যায়ে সমাবেশে রূপ নেয়।

জিল্লুর রহমান জুয়েল তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই নৌকা বাঙালির ঐতিহাসিক ও ইতিহাস সমৃদ্ধ এক প্রতীক। এই নৌকা বাঙালির ভাষা, স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই নৌকা স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনেছে। আজকে সারাবিশ্ব্বের সাথে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ উঠেছে, তাও আপনাদের রায় নিয়ে নৌকা প্রতীক বিজয়ের মাধ্যমে। তাই আগামী ১০ অক্টোবর আপনারা পৌর এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে দলমত নির্বিশেষে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমৃত্যু আপনাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবো।

তিনি বলেন, আমি যেহেতু রাজনীতি করি, সে কারণে দলের প্রতীক নৌকা নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আগামী ১০ অক্টোবর আপনারা সশরীরে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে গোপন রায়ের ভিত্তিতে আমাকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করলে আমি কোনো দলের নয়, এ পৌরবাসীর মেয়র হবো। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে কথা দিয়ে যাচ্ছি, আপনারা আগামী ১০ অক্টোবর শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমাকে বিজয়ী করলে ইনশাআল্লাহ্ আগামীর বাসযোগ্য পর্যটন সমৃদ্ধ ব্যবসায়ী নগর হিসেবে চাঁদপুরকে গড়ে তুলবো এবং চাঁদপুর পৌরসভার পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবো।

জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, পুরো ৮নং ওয়ার্ডটি পৌরসভার একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। কিন্তু সে অনুযায়ী এ এলাকাটি অনুন্নত। ইনশাআল্লাহ আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আগামী ১০ অক্টোবর আপনারা শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির প্রতীক নৌকা, আমার প্রতীক নৌকা মার্কায় আপনাদের মহা মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমি আপনাদের এ এলাকাটির রাস্তা, ড্রেনেজ এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিতভাবে আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করে তা সমাধান করবো।

তিনি ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হয়তো ভাবছেন নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা এসে কথা দিয়ে যায়। বিজয়ী হয়ে আর খবর নেয় না। কিন্তু আমি জুয়েল ঐ ব্যক্তি নই। ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন, আমি যা পারি তা বলি। যা পারবো না, তা কখনো বলার চেষ্টা করি না বা আশ্বাস দেই না। আপনাদেরকে আমার এই আশ্বাস এবং কথা দেয়ার মূলশক্তি ও এগুলো পুরণ করার জন্যে যা যা করার সে কাজগুলো করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। কারণ, আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের হাতে এ দলের মনোনয়নে দিয়েছেন। তিনিই আমার মূল শক্তি। এরপর রয়েছে আপনাদের প্রিয় নেত্রী যাকে আপনারা পর পর ৩ বার বিজয়ী করে সংসদে পাঠিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। অতএব আপনারা আগামী ১০ অক্টোবর নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে চাঁদপুরে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবেন। আমি আপনাদের দেয়া সকল কথা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করবো।

তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনার শহর এ চাঁদপুরকে আমি মেয়র নির্বাচিত হলে নান্দনিক পর্যটন নগরীতে রূপান্তর করতে কাজ করবো। তিনি আরো বলেন, মেয়র পদে কেউ কেউ আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসেন। তাদের কাছে জানবেন, বৈশি্বক এ মহামারী করোনায় তারা কোথায় ছিলেন। আপনাদের পাশে কী তারা দাঁড়িয়েছে? কিন্তু আমি করোনা পরিস্থিতিতে আমার গড়া সংগঠন কিউআরসির মাধ্যমে এ পৌর এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। কাজ করার জন্য মন লাগে। মৃতদের দাফন, দাহ বা সৎকার করেছে কিউআরসি, অসুস্থদের গাড়ি করে ডাক্তারের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। ডাক্তারদের তালিকা এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে পৌরবাসীকে চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি ঔষধ পর্যন্ত ক্রয় করে দিয়েছি।

জিল্লুর রহমান জুয়েল গতকাল ৩ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠকগুলোতে উল্লেখিত কথা বলেন।

এ সকল বৈঠক ও গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, সদস্য দেলোয়ার সরকার, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগ সমর্থিত (৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের চশমা প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদা ইলিয়াস, ৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বস্নাকবোর্ড প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাদশা, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হারুন অর রশিদ পাটোয়ারী, সফরউদ্দিন মাস্টার প্রমুখ। এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী দিনব্যাপী পুরো ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তাঁর সাথে ছিলেন। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ এ গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠকে যোগ দেন। তিনি কোড়ালিয়া এলাকার শেষ প্রান্তে খলিফা বাড়ি এলাকায় উঠোন বৈঠক, নূর হোসেন পাটোয়ারী বাড়ি সম্মুখে উঠোন বৈঠক, সাহা বাড়িতে উঠোন বৈঠক, গুয়াখোলা, সিএনজি স্ট্যান্ড ও মহিলা কলেজ রোড মজুমদার ভিলায় উঠোন বৈঠক করেন।