• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

শহরে অবৈধ অটোরিকশা চলাচলের দাপট ॥ প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশ:  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা । সেই সাথে তীব্র যানজটে নাকাল হচ্ছে শহরবাসী। বিশেষ করে কালীবাড়ি মোড়,বাস স্ট্যান্ড,বিপনিবাগ,পালের বাজার ব্রিজসহ শহরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচলকারী   রিকশা গুলোর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অলিগলিসহ সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লাইসেন্সবিহীন এসব অটো রিকশা ।

এসব অবৈধ রিকশার অদক্ষ চালক, যেখানে-সেখানে ইউটার্ন নেওয়া এবং যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে মাঝেমধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। আহত হয়ে পঙ্গু জীবনযাপন করেছেন বহু মানুষ।

কিছু অটোরিকশা  পৌরসভার বাইরে থেকে আসে। এরাই মূলত শহরে যানজট সৃস্টি করছে। অনেক মালিক অটো রিকশা  কিনে পৌরসভার কতিপয় বাক্তিকে মাশোয়ারা দিয়ে শহরে অটো রিকশা  চালানোর বৈধতা পেয়ে যান।  অবৈধ রিকশা  শহরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট করছে তেমনি যানজটও  বাড়াচ্ছে। চাঁদপুরে শহরবাসীর গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা । প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় ৪-৫ গুণ বেশী  অটো রিকশা চলাচল করে শহরে। এ রিকসার চালকদের কোনোভাবে বাগে আনা যাচ্ছে না  ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে বারবার উদ্যোগ নিলেও, রাজনৈতিক নেতাদের অনীহা, সমন্বয়হীনতা ও পৌরসভার অসহযোগিতার কারণে বিষয়টির কোনো সমাধান হচ্ছে না।

 একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায় , এক বছরের জন্য একটি অটো রিকশা  ভ্যাট ট্যাক্স মিলে ২ হাজার ২৫ টাকা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স করতে দিতে হয়। এরপর লাইসেন্স দেওয়া অটো রিকশা গুলো পৌর এলাকায় চলার অনুমতি পায়। তবে অটো রিকশা  চালক সমিতির  হিসাব মতে শহরে অন্তত ১৫ থেকে ১৮ হাজার অটো রিকসা  চলাচল করছে। চালকদের আলাদা সমিতি রয়েছে শহরে ও গ্রামে। তারা প্রতিদিন এসব  থেকে ২০ থেকে ৪০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে।
 
এসব যান চলাচলের জন্য শহরের মধ্যে তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। যেখানে সেখানে পার্কিং করে শহরের অবস্থা দুর্বিসহ করে তুলছে।  
 হকাররা  রাস্তার দু’পাশ দিয়ে ফুটপাথের জায়গা দখল করে পসরা সাজিয়ে বসে আছে  পথচারীদের হাটার পথ নেই।  শহরের হকার মার্কেটে সামনের ফুটপাতে  নানা ধরনের পসরা সাজিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ফলে পথচারীদের পথচলা ও পারপার হওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাাস্তবতা যা হলো, জেলার ট্রাফিক সদস্য সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। শহরের দৃশ্য দেখে মনে হয় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার মিছিলের শহর চাঁদপুর।

শহরে চলাচলকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত বৈধ অটো-রিকশার চাইতে বহুগুণে বেশি চলছে অবৈধ অটোরিকসা। বর্তমানে শহরে যত অটো-রিকশাচলাচল করে তাদের মধ্যে অধিকাংশের লাইসেন্স নেই। ট্রাফিক আইনের ধারণা না থাকায় ট্রাফিক চিহ্ন বুঝতে পারে না তারা। সঙ্কেত না দিয়ে ইচ্ছামতো ডানে-বামে মোড় নেয়ায় ঘটছে ব্যাপক আকারে দুর্ঘটনা। সচেতন মহলের দাবি পৌর কর্তৃপক্ষকে ভোটের ভাবনা ছাড়তে হবে।
জনস্বার্থে এই সকল অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার  বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সাথে শহরের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া যানজটের দায়ভার এককভাবে ট্রাফিক পুলিশের কাঁধে না ঠেলে নিজেদের দায়িত্বে সচেতন হতে হবে। সব পক্ষ উদ্যোগ নিলে এ সব সমস্যা অতিসহজে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতো একান্ত ভাবে।