চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা মার্কার সমর্থনে ১২নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক
আমি মূলত ধানের শীষের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাচন করছি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে : জিল্লুর রহমান জুয়েল
আমি স্বাধীনতার সপক্ষের লোক। আগামী ১০ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী। আমি মূলত ধানের শীষের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাচন করছি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। নির্বাচনকে বানচাল করতে সিন্ডিকেট শক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। জনগণ পাশে থাকলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই আমি ও আমার প্রতিপক্ষ আক্তার ভাইয়ের জন্য আপনারা দোয়া করবেন, আল্লাহ যেনো আমাদের সুস্থ রাখেন। আমার প্রতিপক্ষ বা অন্য কারো পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার ছিঁড়বেন না এবং নষ্ট করবেন না। কেউ যদি এমনটা করেন, তাহলে আমি মনে করবো তিনি আমার ক্ষতি করছেন। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এটা আমার প্রথম নির্বাচন। আমার সাথে যারা নির্বচনী মাঠে কাজ করছেন, তারা যদি মনে করেন আমি নির্বাচনে জয়ী হলে তারা বিশেষ সুবিধা পাবেন, তাহলে সেটা হবে ভুল। আর যাদের এই চিন্তা চেতনা থাকে, তারা এ মনোভাব থেকে সরে দাঁড়ান। মানুষের সেবা করার জন্যই আমি মেয়র প্রার্থী হয়েছি। চাঁদপুরে এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। এখানে যার ভোট তিনি নিজেই দিতে হবে।
চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনে গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার নৌকা মার্কার সমর্থনে ১২নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠককালে মেয়র প্রার্থী অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল তাঁর বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
নৌকা মার্কার ভোট চেয়ে গতকাল সকাল ১০টায় মিশন রোডস্থ আদর্শ মহল্লার হাওলাদার বাড়ি, বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড, খান সড়ক, জাফর খান বাড়ি, ছৈয়াল বাড়ি রোড, নাজির পাড়া দেওয়ান বাড়ি, বঙ্গবন্ধু সড়ক হাজী বাড়ি, দর্জি ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিটি রোড দক্ষিণ মিজি বাড়িতে গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন পৌর ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান দর্জি, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আয়শা রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের আহ্বায়ক মোঃ ইদ্রিস জাপানী, সদস্য সচিব মামুন দেওয়ান, বিষ্ণুদী মাদ্রাসা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান বাবু, সদস্য সচিব সোহেবুর রহমান, দর্জিঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের আহ্বায়ক আবু জাফর খান, সদস্য সচিব মোঃ মাইনুদ্দিন মিজি, আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জাফর খান, যুবলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম খলিফা, ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ সুমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেনসহ মহিলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতৃৃৃবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ। জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, শত বছরের পৌরসভা উন্নয়নের দিকে পিছিয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে জয়ী হলে নাগরিক সেবা সহজলভ্য করে দিবো। আমি যেগুলো পারবো সেগুলোই ওয়াদা করছি। আমার কাজের মধ্যে থাকবে মাস্টার প্ল্যান। আমি প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলরকে নিয়ে নাগরিক সেবা দিতে জনগণের মুখোমুখি হবো। তিনি আরো বলেন, ময়লা-আবর্জনা নিয়ে নাগরিক ভোগান্তি চরমে। আমি বুঝি যিনি ময়লা করবেন, ময়লা তার ঘরের মধ্যে থাকবে। আর ওই ময়লা পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবে। পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট পাকা হবে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকবে, পানির লাইন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ সড়কে লাইট জ্বলবে। মূলত নাগরিকরা একজন মেয়রের কাছে এটাই চায়। সে প্রত্যয় নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর নৌকা মার্কায় ভোট দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।