• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট ক্ষুব্ধ পৌর নাগরিকরা

বাদী বর্তমান মেয়রের ভাগিনা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার ভাই

প্রকাশ:  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পৌরসভার দুইজন নাগরিক। রিটকারী এই দুই নাগরিক হচ্ছেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের ভাগিনা মাহবুব আলম আখন্দ এবং মেয়রের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার ভাই মোঃ হাসিবুল হাসান। গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার হাইকোর্টে বিচারপতি জেবিএম হাসানের কোর্টে এই রিট পিটিশন করা হয়। আজ এই পিটিশনের উপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের সাথে সাপোর্টিং কাগজ হিসেবে দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন বরাবর কয়েকজনের করা আবেদনের কপি। কিন্তু হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, আবেদনকারীদের কয়েকজন এই প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেছেন তারা আবেদন করেন নি, এমনকি এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন মোঃ আলাউদ্দিন, পিতা আবুল বেপারী, পুরাণবাজার চাঁদপুর। এছাড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে যেসব কাগজ দেয়া হয়েছে, সেগুলোও ভুয়া।

 


এদিকে নির্বাচন কমিশন বরাবর হাসিবুল হাসানসহ আরো কয়েকজনের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান করোনা ভাইরাসে চাঁদপুর পৌরসভায় প্রায় এক শ'র মতো লোক মারা গেছে এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ৮-৯ শ' লোক আক্রান্ত। অথচ সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ করোনা ভাইরাস সংশ্লিষ্ট সকল স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে পুরো চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত (গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর) মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৬ জন। আর পুরো চাঁদপুর জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯৫ জন। এদের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন ১৮২৮ জন। এদিকে মোট আক্রান্তের মধ্যে পৌরসভাসহ চাঁদপুর সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮৮২ জন, সুস্থ হয়েছে সাত শতাধিক। অথচ আবেদনে নির্লজ্জ মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে বলা হয়েছে, পৌরসভায় মারা গেছে প্রায় ১শ' এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছে ৮-৯শ'।

এছাড়া নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কয়েকজনের নামে আবেদন করা হয়। সে সব আবেদন যাচাই করে দেখা হয় সেগুলোও ভুয়া এবং ভিত্তিহীন। যেমন কেএম শওকত ও মোঃ বিল্লাল হোসেন নামে দু'জন আবেদন করেন তাদেরকে নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে। অথচ যাচাই করে দেখা গেছে যে, তারা দু'জনই বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছেন। এর জন্যে কেএম শওকত পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা রোড এলাকার ৬৪নং ভোটার। আর ভোটার আইডি নং ১৩০০৭৯০০০১৮০। একইভাবে মোঃ বিল্লাল হোসেনের ভোটার নং ৬৩, ভোটার আইডি নং ১৩০০৭৯০০০১৭৯। এভাবে আরো অনেক আবেদনই ভুয়া প্রমাণিত।

এদিকে গতকাল দুপুরের পর নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের বিষয়টি পৌর নাগরিকদের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে তারা অনেকটা ক্ষুব্ধ হন। তারা বলেন, এমন ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। এমন ন্যাক্কারজনকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। তারা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তারিখ আগামী ১০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার জোর দাবি জানান।