চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি
আন্দোলন-সংগ্রাম, নির্বাচন ও দুর্যোগের এক ভ্যানগার্ডের নাম ছাত্রলীগ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন, ছাত্রলীগ শুধু ছাত্র সংগঠনের নাম নয়, এটি একটি আদর্শের নাম। ছাত্রলীগের ইতিহাস জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে। এ ছাত্রলীগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে মাতৃভাষা এবং মহান স্বাধীনতা। দেশের একমাত্র ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ জন্মের পর সকল আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের জনগণের পক্ষে অকাতরে জীবন দিয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রাম, নির্বাচন ও দুর্যোগের এক ভ্যানগার্ডের নাম ছাত্রলীগ।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা শুধু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বা ক্ষমতার পালাবদলের জন্যে নয়। স্বাধীন বাংলাদেশে যখন সাড়ে তিন বছরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিলো, তখন তারা এই দেশকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যে এবং আবারো সেই পরাধীন পাকিস্তানিদের মতো অন্ধকার একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যই সে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছিলো।
তিনি ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে অপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আজকে স্বাধীন বাংলাদেশ জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি, তার মূল ভিত রচনা করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি গতকাল ২৯ আগস্ট শনিবার বিকেল তিনটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যা ও জাতীয় শোক দিবস এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জহির উদ্দিন মিয়াজীর সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেনের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির চাঁদপুরস্থ প্রতিনিধি অ্যাডঃ মোঃ সাইফুদ্দিন বাবু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ মোতালেব, চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম রেজোয়ান, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন গাজী, চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম (রবিন) পাটোয়ারী, হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহন গাজী, হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাবি্ব, শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন মজুমদার, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ উদ্দিন।
আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাউসার আলম পান্না, গীতা পাঠ করেন স্বাধীন ঘোষ। আলোচনার শুরুতে সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর বিশেষ ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ছাত্রলীগ একটি আদর্শের সংগঠন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে দেশের জনগণের পক্ষে রয়েছে। ছাত্রলীগের অতীত সুনাম রয়েছে, সেই ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ন রেখে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ এগিয়ে চলবে।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ কারো কোনো ব্যক্তির পক্ষে কাজ করবে না। শুধুমাত্র জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণের পক্ষে কাজ করবে। তাহলেই ছাত্রলীগ থাকবে। না হয় ছাত্রলীগের নাম ইতিহাস থেকে মুছে যাবে।
তিনি জানান, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সহসাই করা হবে। এ জন্যে জেলা ছাত্রলীগকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়ে কাজ করার জন্যে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।