• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শাহরাস্তি উপজেলার শ্বশুরালয়ে জামাতার রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশ:  ২৮ আগস্ট ২০২০, ১২:৫১
ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকনঃ
প্রিন্ট

শাহরাস্তি উপজেলার শ্বশুরালয়ে জামাতার রহস্যজনক মৃত্যু
ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকনঃ
চাঁদপুর জেলা শাহরাস্তিতে ফাহাদ হোসেন নামক এক যুবক শ্বশুরালয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনায় এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
গেল বুধবার(২৬ আগস্ট) রাত ১১.৩০মিনিটের সময় শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের আজাগরা কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে শাহরাস্তি থানার ওসি (তদন্ত)মোঃআবদুল মান্নান, সেকেন্ড অফিসার আবদুল আউয়াল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্হিত হয়ে ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে লাশ প্রেরণ করা হয়।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, একই বাড়ির নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজনিন সুলতানা নূপুরের (১৮) সাথে প্রেমের জালে আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে একই বাড়ির সাবের আহমেদের ছেলে ফাহাদ হোসেন (২১)। বিয়ের পর সাত মাসের অন্তঃস্বত্বা স্ত্রী নূপুরকে নিয়ে নিজ বাড়িতে আসে ফাহাদ। তার আগে ফাহাদের পরিবারকে মামলা করে হয়রানি করে শ্বাশুড়ি নাছিমা বেগম বিউটি। বর্তমানে ফাহাদ-নূপুরের সংসারে ফাইজা নামে ১১ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
ফাহাদের পিতা সাবের আহমেদ জানান, বিউটি ও তার পরিবার আমার ফাহাদকে হত্যা করে বারান্দার গ্রীলে ঝুলিয়ে রেখেছে। তারাই আমার সন্তানকে হত্যা করেছে। মায়ের বুক খালি করবে বলে বিউটি ও স্বামী নজরুল ইসলাম আমাদের বহুবার হুমকি দিয়েছে। আজ তারা আমার সন্তানকে হত্যা করে সেই হুমকিকে সত্যতে পরিনত করেছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ফাহাদের মা নাছিমা বেগম বলেন, আমার বুক ওরা খালি করেছে। তারা হুমকি দিয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিউটি আমার সন্তানকে হত্যা করেছে। তাদের ঘরে থাকা দড়ি দিয়ে আমার ছেলের গলা প্যাঁচিয়ে গ্রীলের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে তারা। বিউটি আমার ছেলেকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিয়েছে।
এবিষয়ে ফাহাদের শ্বশুর বাড়ি গেলে তার স্ত্রী নূপুরদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতিনিধির সাথে কথা বলেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা বেগম বিউটি। তিনি বলেন, তারা কেউ বাড়ি নেই। কে কোথায় গিয়েছে তা আমি জানিনা। স্থানীয় প্রতিনিধি তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তার পরিচয় গোপন করেন।
এলাকাবাসী এই রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করেছেন।