• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শাহরাস্তি ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ:  ২৭ আগস্ট ২০২০, ১৯:৫৬ | আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২০, ২০:০১
ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকনঃ
প্রিন্ট

শাহরাস্তি ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

 ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকনঃ

চাঁদপুরের শাহরাস্তি মেহের উত্তর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোঃ মিরণ (৪৩) এর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা ও পুরুষ নারীদের সরকারি ভাতার কার্ড জিম্মি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় নামধারী মেম্বার বিধবা মহিলাদের ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা তোলার পর জোর করে সবার থেকে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। এ বিষয়ে মেহের উত্তর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের ৬৮ বছর বয়সী লুৎফন নাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড নেয়ার জন্য মিরণ মেম্বারকে ১ শত, ২ শত টাকা করে অনেক টাকা দিয়েছি। কার্ড হওয়ার পর ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করার সময় তিনি অফিস খরচের কথা বলে আমার থেকে ২ হাজার টাকা নেন। আরূছা খাতুন (৫৮) নামের বিধবা বয়স্ক মহিলা জানান, আমি বিধবা ভাতার কার্ড করার সময় মেম্বারকে টাকা দিয়েছিলাম। প্রথম টাকা উঠানোর সময় মেম্বার আমার থেকে ২ হাজার টাকা নিয়েছে৷ টাকা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ সে আমাকে বলেনি। শিরীণ আক্তার নামের আরেক মহিলা জানান, আমার ছেলে প্রতিবন্ধীর তালিকায় নাম দেয়ার জন্য প্রথমে মেম্বার মিরণকে ১৫০০ টাকা দিয়েছি। এরপর কার্ড পাওয়ার পর বলেন আরও আড়াই হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু আড়াই হাজার না দিয়ে ১৫০০ টাকা দিলে মেম্বার তা ছুঁড়ে ফেলে। পরবর্তীতে ২০০০ টাকা দিয়ে তা রফা দফা করি। একই গ্রামের সালেহা বেগম (৬২) নামে বিধবা মহিলা জানান, প্রথমে মিরণ মেম্বারের মাধ্যমে টাকা দিয়ে বিধবা ভাতার কার্ড নেই। এরপর যখন ব্যাংক থেকে টাকা আনতে যাই টাকা উত্তোলন করার পর মেম্বারকে দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়। কেন টাকা দিতে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে মেম্বার মিরণ বলেন, প্রত্যেক অফিসারকে টাকা দিতে হবে আর না হলে আমাদের কার্ড জব্দ করা হবে। সরকারি বিভিন্ন অফিসারদের যদি টাকা না দেই তাহলে আর আপনারা টাকা পাবেন না এগুলো অফিসারদের টাকা। বিভিন্ন বিধবা মহিলা, বয়স্ক মহিলা ও প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে চাঁদার টাকা উত্তোলনকারী মেম্বার মিরণ ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, মানুষ খুশী হয়ে আমাকে টাকা দিলেই আমি নিয়ে থাকি। কাউকে জোর করে আমি কোনো টাকা নেই না। মেহের উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন জানান, টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তিনি জানতেন না, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে তিনি বিষয়টি শুনেছেন। দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টির বিচার চান তিনি। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ পেলে তিনি নিশ্চয়ই প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শাহরাস্তি উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবু ইসহাক জানান, ভাতার কার্ডের বিপরীতে কোনো ধরণের টাকা নেওয়া হয় না। কেউ যদি অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে, তবে তা অবশ্যই অন্যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যখন আমরা পুরো শাহরাস্তিকে ভাতার আওতামুক্ত করতে যাচ্ছি তখন ইউপি মেম্বার মিরণ আমাদের সহযোগিতা না করে টাকা আত্মসাৎ করছে। বিষয়টি লজ্জাজনক, আমরা নিশ্চয়ই এর ব্যবস্থা নেব।