ফরিদগঞ্জে সহপাঠীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ


ফরিদগঞ্জে অপহরণ করে দুই দিন আটকে রেখে সহপাঠীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে চলতি বছর এসএসসি পাস করা এক শিক্ষার্থী (১৭)। পরে কৌশলে পালিয়ে এসে শিক্ষার্থী তার পরিবারকে ঘটনা জানালে শনিবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওদিকে ঘটনার পরপর অভিযুক্ত ধর্ষক এলাকা থেকে পালিয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী ও শিক্ষার্থীর মা জানান, আমার মেয়ে ২০২০ সালে এসএসসি পাস করে। গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চররাঘবরায় গ্রামের আমান উল্ল্যা আমানের ছেলে ও মেয়ের সহপাঠী মেহেদী হাসান মিরাজ আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এতে সাড়া না দেয়ায় সে গত ১৯ আগস্ট বুধবার গভীর রাতে আমার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে তাকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে সে পালিয়ে এসে আমাদেরকে জানায়। পরে আমি শনিবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানায় এসে মামলা দায়ের করি। থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তা সম্পন্ন হয়েছে।
ওদিকে ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত মিরাজের পিতা আমান উল্ল্যা জানান, তার ছেলে এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। কৌশলে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার পুরো সময়কাল মিরাজ তার সাথেই ছিলো।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, মামলা গ্রহণ করে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।