• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে আবারো অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ:  ২০ আগস্ট ২০২০, ১৭:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার পানি আবারো অস্বাভাবিক জোয়ারে বাড়তে শুরু করায় চাঁদপুর জেলার হাইমচর, চাঁদপুর সদর ও মতলব দুই উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বুধবার বৈকালীন জোয়ারের সময় মেঘনার পানি চাঁদপুর পয়েন্টে বিপদসীমার প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর কারণে আবারো শহরের অনেক রাস্তায় পানি উঠে যায়। শহর রক্ষাবাঁধের বিভিন্ন স্থান দিয়ে জোয়ারের পানি উপচে পড়ে। পুরাণবাজার দেওয়ানঘাট, ভূঁইয়ারঘাট তলিয়ে যায়। তবে নদী ভাঙ্গনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর চেম্বারের পরিচালক গোপাল চন্দ্র্র সাহা জানান, জোয়ারের পানি রামঠাকুর দোল মন্দিরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বন্যা, উজানের ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের এই পানি বৃদ্ধি। পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাবুল আখতার জানান, বুধবার বিকেলের পর থেকে অস্বাভাবিক জোয়ার আমরা দেখতে পারছি। নদীর এই পানি বৃদ্ধি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। হাইমচরে বাঁধ পরিস্থিতি দেখার জন্য আমাদের লোক সেখানে গেছে। নতুন করে সমস্যা হয়নি। তিনি বলেন, জোয়ারে পানি উঠলেও ভাটায় নেমে যায়। অমাবস্যার প্রভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে।

এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার জেলায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিবৃষ্টি এবং অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সেচ প্রকল্পের ভিতরে এবং বাইরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে পদ্মা ও মেঘনা নদীর তীরবর্তী চাঁদপুর জেলার চারটি উপজেলায় এখনো জলাবদ্ধতার উন্নতি ঘটেনি। ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি ইউনিয়নের লোকজন দুর্ভোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো অমাবস্যার প্রভাবে পড়েছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। তালিকা নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই ক্ষতিগ্রস্তত্মদের আবারো সহায়তা করা হবে।