• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ৫ একর সম্পত্তি বেহাত

প্রকাশ:  ১৭ আগস্ট ২০২০, ১৪:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নামে অধিগ্রহণকৃত ১০ একর সম্পত্তির মধ্যে ৫ একর সম্পত্তির হদিস না থাকার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গত প্রায় ছয় দশক পর অবশেষে বেহাত হয়ে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে গঠিত কমিটি ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে।
জানা গেছে, পূর্ব পাকিস্তান আমলে তৎকালীন চাঁদপুর মহকুমার ফরিদগঞ্জ টিটিএন্ডডিসি-এর নামে ১০ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়। সেই অনুযায়ী এলএ কেস নং- ১৯২/৬৩-৬৪ অনুযায়ী কাছিয়াড়া গ্রামের ২৯১ নং মৌজায় ৪৫ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ওই সময়ে ৩৪ হাজার টাকা মূল্যে সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এছাড়া ১৯৫৭ সালে সাফ কবালা দলিল মূল্যে তৎকালীন সিও ডেভেলপমেন্টের নামে আরো ৬৭ শতক  ভূমি ক্রয় করা হয়।
কিন্তু উপজেলা পরিষদ তাদের অধিগ্রহণকৃত ১০ একর সম্পত্তির মধ্যে ৫ একর সম্পত্তি খাজনা নিয়মিত দিয়ে আসলেও বতর্মানে দখলে রয়েছে মাত্র ৪ একর ৬৭ শতক সম্পত্তি। সম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদের সম্পত্তির হদিসের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সেই মোতাবেক গত ২৬ জুলাই ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার উপজেলা পরিষদের সম্পত্তির হদিস নেই বলে বিষয়টি নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন। আলোচনার প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম আহমদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদের স্থাবর সম্পত্তি যাচাই বাছাই ও রক্ষা উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
সেই কমিটি গত ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের প্রথম সভা করে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৭ আগস্ট সার্ভেয়ার দিয়ে উপজেলা পরিষদের দখলে থাকা বর্তমান সম্পত্তি পরিমাপ হবে।
একটি সূত্র জানায়, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা মডেল মসজিদের নামে যেই সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়েছে কিছুদিন পূর্বে, তাও উপজেলা পরিষদের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি। এই ধরনের আর কী কী প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা গড়ে উঠেছে তা তদন্ত পূর্বক বের করার দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম জানান, সরকার উপজেলা পরিষদের নামে ১০ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করলেও বতর্মানে তার অর্ধেকের বেশি বেহাত হওয়া উদ্বেগজনক। আমরা সূক্ষ্মভাবে কাজ করবো। বেহাত হওয়া সম্পত্তি কোথায় কীভাবে রয়েছে তা বের করার চেষ্টা করবো।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, উপজেলা পরিষদের সম্পত্তির বিষয়টি পরিষদের মাসিক সভায় উপস্থাপনের পর এই বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্পত্তি কোথায় রয়েছে এর হদিস বের করার পর করণীয় বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ।
এদিকে গত প্রায় ছয় দশকেও উপজেলা পরিষদের সম্পত্তির খোঁজ খবর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা না রাখায় এই সম্পত্তির বেশির ভাগ অংশই এখন হয়তোবা ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে।