অচিরেই বাংলাদেশে ফেরত আসছে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী


বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হাজীগঞ্জ তথা চাঁদপুরের কলঙ্ক সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া কর্নেল রাশেদ চৌধুরী কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। তিনি সম্প্রতি দেশটির ইমিগ্রেশন আপিল বোর্ডের কাছে এই খুনির রাজনৈতিক আশ্রয় মামলার নথি পর্যালোচনার জন্য তলব করেছেন। বলা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের সুযোগ হারাতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর এই খুনি। আর তাহলে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। দেশে ফেরত আসলে দন্ড কার্যকর করা হবে এই খুনির। অনেক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ সরকার। মার্কিন কূটনৈতিকদের কাছেও রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের এই পর্যালোচনার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী।
রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে রাজধানী সেক্রামেন্টো থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরের শহর কনকর্ডে হ্যাকিল বেরি ড্রাইভে বসবাস করছেন। বারবার স্থান বদল করে ২০১৫ সাল থেকে তিনি কনকর্ডে বসবাস করছেন। এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডে, ইলিনয় এবং মিশোরীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বসবাস করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় দুটি বাড়ির মালিক রাশেদ চৌধুরী। যার একটি কনকর্ডে এবং অন্যটি সেক্রামেন্টোতে। ২০১৫ সালে কনকর্ডে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার দিয়ে কেনা বাড়িটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। ২০১০ সালে সেক্রামেন্টোতে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ডলার দিয়ে কেনা বাড়িটির বর্তমান মূল্য প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
চাঁদপুরের কলঙ্ক রাশেদ চৌধুরী হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ৬ নং পূর্ব ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি গ্রামে কুখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা শিহাব উদ্দিন মাস্টারের কু-সন্তান।