জুম অ্যাপের মাধ্যমে জিলানী চিশতী কলেজে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা


চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী জিলানী চিশতী কলেজের আয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জুম অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ২৬ জুলাই রোববার দুপুর সাড়ে ১১টায় কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় জুম অ্যাপে'র ম্যাধ্যমে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি প্রথমেই সকলকে ইদুল আযহার শুভেচ্ছ জানাই। বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে সমগ্র বিশ্ব সংকট অবস্থায় আছে। আমরা প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানের খোঁজ খবর নিচ্ছি। দেশের প্রায় প্রতিষ্ঠানে জুম অ্যাপের মাধ্যমে মিটিং করছে। আমরা অভিভাবকদের সাথেও ধারাবাহিকভাবে মিটিং করব। করোনাকালে সরকার বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমাদের সকলের সরকারের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। অনলাইনে ক্লাসের প্রতি আমাদের আরো জোরদার করতে হবে। এই করোনাকালে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি। ভর্তির কার্যক্রমও অনলাইনে হবে। তাই ভর্তির জন্য সকলকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাকালে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা কিনা ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু এই কলেজকে একটি বহুল তল ভবন দিয়েছেন। যার সুফল এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা পাচ্ছে । তিনি বলেন, করোনার জন্য সবাই বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। সরকারের সকল সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করে পাঠদান সম্পন্ন করতে হবে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মহোদয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাসায় বসেও অনলাইনে ক্লাস করা যায়। শিক্ষা অফিসকে অনলাইনের কস্নাস সম্পর্কে অবগত করতে হবে। ফেসবুকে আমার সাথে এড হবেন। অনলাইনে ক্লাস করে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচার করতে হবে। যাতে তারা ক্লাস দেখে তাদের পাঠদান সম্পন্ন করতে পারে। বাহিরে বের হলে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। সকলকে ভর্তির বিষয়টা গুরুত্ব দিতে হবে। কম্পিউটারের দোকানগুলোকে অবগত করতে হবে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষকদের দায়িত্ব বন্টন করে দিবেন। যারা এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে পড়ে কিনা, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিতে হবে। অনলাইনে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪-৫ ক্লাস করতে হবে। সরকার সকল সিদ্ধান্ত অনলাইনে দিচ্ছে। সরকার কী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার খোঁজ-খবর নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে আমরা অনলাইনে সকলে একত্রে কথা বলতে পারছি। মিটিং করতে পারছি ও অনলাইনের সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। আমরা অভিভাবকদের সাথে জুম অ্যাপে মিটিং করবো। এই কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভালো ফলাফল যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। সর্বোপরি আমাদের ভর্তির বিষয়ে বেশি কাজ করতে হবে। অধ্যক্ষ মহোদয় কাজ ভাগ করে দিবেন। আজকের সুন্দরভাবে মিটিং সম্পন্ন হওয়ায় অধ্যক্ষসহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
এ সময় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ গোলাম সারওয়ার, সাহেরা আক্তার, মোঃ কামরুল হাসান, শামীমা আক্তার, প্রভাষক মিসেস নুরুন্নাহার বেগম মুক্তা, মাওলানা ছোহাইল আহমাদ চিশতী, ফারজানা আক্তার, মোঃ জিয়াউর রহমান, মোঃ জহিরুল ইসলাম খান মুরাদ, মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ হাবিবুর রহমান, মাহাবুবুর রহমান, মনোয়ারা বেগম, মোঃ মনজুরুল আলম পাটওয়ারী, শরীরচর্চা শিক্ষক হালিমা আক্তার।