ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টে স্থাপিত
কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষাগার আজ উদ্বোধন


ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের যৌথ উদ্যোগে চাঁদপুরে স্থাপিত করোনা তথা কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষাগার আজ উদ্বোধন করা হবে। চাঁদপুর শহরের নতুনবাজারস্থ কদমতলা এলাকায় ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাটে এ পরীক্ষাগারটি স্থাপন করা হয়েছে। আজ ২৭ জুলাই সোমবার বিকেল ৫টায় এটি উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই চাঁদপুরে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে গতকাল রোববার এ প্রতিবেদক সরজমিনে এ পরীক্ষাগার দেখতে যান। সেখানে কথা হয় চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ জামাল সালেহ উদ্দীন আহমেদে এবং ল্যাবে কর্মরত ৭ জন কর্মকর্তার টিম লিডার ডাঃ ত্রিদিপ দাসের সাথে। সরজমিনে দেখা গেছে যে, এ ল্যাবরেটরীতে পিসিআর মেশিনসহ পরীক্ষার জন্য সকল যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এখন শুধু পরীক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় কীট এবং নমুনা সংগ্রহ হলেই পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। এ পরীক্ষাগারে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) থেকে ৭ জন কর্মকর্তাকে এক মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ৭ জন হচ্ছেন সিভাসুর পিআরটিসির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ ত্রিদিপ দাস (টিম লিডার), ডাঃ চন্দন নাথ, ডাঃ মোক্তাদির বিল্লাহ রেজা, ডাঃ সাদিয়া জিন্নুরাইন, ডাঃ আবু জোবায়ের তানজিন, ডাঃ রায়হান খান নাঈম ও রাজিয়া সুলতানা।
এ ল্যাবের বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সাথে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখানে শুধুমাত্র যে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে তা নয়। একসময় এ ভাইরাসটি চলে গেলেও আরও নতুন নতুন যেসব ভাইরাসের আবির্ভাব হবে সেগুলোর পরীক্ষাও এ ল্যাবে করা যাবে। এছাড়া ডিএনএ, আরএনএ টেস্টসহ মানব দেহের আরো জটিল পরীক্ষাগুলো এখানে করা যাবে। তিনি আরো জানান, আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং তাঁর বড় ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু ভাইয়ের বদান্যতায় চাঁদপুরে স্বাস্থ্য খাতে একটি বিশাল সাফল্য অর্জিত হলো। আর এটি ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের নামে হওয়ায় এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ল্যাবটি স্থাপনে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্যে অনেক বড় সাফল্য এবং সহায়ক হয়ে গেলো। এখানে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্যে একটি টিম তিনি গঠন করেছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর চাঁদপুরে এ ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্তকরণে সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনা এখন পর্যন্ত ঢাকায় পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসতে ১০/১২ দিন সময় লেগে যেতো। এ কারণে চাঁদপুরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা যেতো। এ বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিকে চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন মহল থেকে বলা হলে তিনি এটি গুরুত্বের সাথে নেন এবং এ সমস্যা দূরীকরণে উদ্যোগী হন। তিনি ও তাঁর বড় ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আর্থিক সহযোগিতায় ট্রাস্টের নামে বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাটে ল্যাবটি স্থাপন হয়ে গেলো। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁদপুরে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাব প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলো।