শাহরাস্তিতে চাচা কর্তৃক ভাতিজি ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় আপন চাচা কর্তৃক ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শাহরাস্তি থানা পুলিশ ধর্ষক চাচাকে আটক করেছে। শিশুটিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া ইউনিয়নের কামতা গ্রামের ঢালী বাড়িতে শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে।মোঃ রাসেল ঢালী ঢাকায় বিদ্যুতের কাজ করেন। তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস দ্বিতৃয় শ্রেণীতে পড়া (৭) শিশু কণ্যা ও শিশু পুত্রকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন। শিশুটি স্থানীয় সূচিপাড়া যুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। করোনা শুরু হলে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশুটি দাদুর বাড়িতে থাকতো বলে তার মা জানায়। এ সুযোগে শিশুর বড় চাচা ইকবাল ঢালী (২৫)তাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে আদর করার ছলে বেশ কিছু দিন ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও স্পর্শকাতর স্থানেগুলোতে আঘাত করতো বলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীর অবস্থায় সাংবাদিকদের জানায়। শিশুটির মা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গত ১৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটি তাকে বলে তার গোপন অঙ্গ ব্যথা করে। তখন জানতে চাইলে শিশুটি তার চাচা ইকবালের কুকৃর্তি বর্ণনা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, শশুড় ইমাম হহোসেন ঢালী, শ্বাশুড়ি ইমামা বেগম ও দেবর রাব্বি ঢালী মোবাইলের মাধ্যমে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, শিশু ধর্ষনের খবর পেয়ে আমরা ধর্ষক চাচা ইকবালকে আটক করেছি। সে পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। শিশুর পরিবার অভিযোগ দায়ের করলে বাকি আইনি কার্যক্রম চালানো হবে। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ কাজল জানান, বিকেল ৩টা ৫ মিনিটের সময় শিশু ধর্ষনের অভিযোগে একটি শিশু ভর্তি হয়েছে। আমরা তার কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবো সে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে কিনা তারপর রিপোট দেয়া হবে।