• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মেঘনার ভাঙ্গন থেকে পুরাণবাজারকে রক্ষার দাবিতে প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির মতবিনিময় সভা

চাঁদপুর থেকে হাইমচর পর্যন্ত চর ও ডুবোচর খননে মহাপরিকল্পনা গ্রহণে সরকারের প্রতি দাবি

প্রকাশ:  ১৬ জুলাই ২০২০, ১১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে পুরাণবাজারকে রক্ষার দাবিতে চাঁদপুর দক্ষিণাঞ্চলীয় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৫ জুলাই বুধবার বিকেলে পুরাণবাজার মাছ বাজারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।


সভার শুরুতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও হাইমচরের কৃতী সন্তান আব্দুল জব্বার পাটোয়ারীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধাগোবিন্দ গোপ।

চাঁদপুর নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শাখার সভাপতি ফয়েজ আহমদ মন্টু ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দীন মন্টু গাজীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যাংকার মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মেম্বার সুভাষ সাহা, সহ-সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার, সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মী মিজানুর রহমান।

সভায় বক্তারা পুরাণবাজারসহ চাঁদপুর শহর রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থাগ্রহণে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ ডাঃ দীপু মনি এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতিবছরই বর্ষা এলে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ নদীতে ভাঙছে। এবারও পুরাণবাজার বাণিজ্যিক কেন্দ্রসহ হরিসভা এলাকাটি নদী ভাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। নদীর পাড়ের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে।

বুধবার সকালে মেঘনার পানি হঠাৎ ফুলে ফেঁপে উঠে। পরিস্থিতিতে বাজার এলাকার মদিনা মসজিদ ট্রলার ঘাটে পানি উপরে উঠে যায় এবং ঘাটে ভিড়ানো ব্যবসায়ীদের মালামালের ট্রলারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেখান দিয়ে মেঘনার তীব্র স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। এই এলাকাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবশ্যই তদারকি করা দরকার।

হরিসভা রাস্তার মোড় থেকে বাতাসা পট্টি এলাকা পর্যন্ত এই এলাকার ভাঙ্গন মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে আবারো পুরাণ বাজারের অনেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

বক্তারা বলেন, আমরা বিগত বহু বছর যাবৎ নদীর তীর সংরক্ষণের পাশাপাশি নদীর ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের এই দাবিটি আমলে না নেয়ায় তীর সংরক্ষণে তৈরি করা শহর রক্ষাবাঁধ বারবার ভাঙ্গনের সম্মুখীন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মোলহেড থেকে হাইমচর পর্যন্ত যতগুলো চর ও ডুবোচর রয়েছে সেগুলোকে ড্রেজিং করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণে সরকারের প্রতি বক্তারা দাবি জানান।

তারা মনে করেন, নদীকে পরিকল্পিতভাবে যদি ড্রেজিং করা হয় তাহলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে। নদীকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ভাঙ্গন প্রবণতা কমে আসবে।