• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর সদরে করোনা রোগী পাঁচশ' ছাড়িয়েছে

প্রকাশ:  ১৪ জুলাই ২০২০, ১০:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচশ' ছাড়িয়েছে। যা সব উপজেলার মধ্যে শীর্ষে। মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়েও এ উপজেলায় বেশি। তবে গ্রামের চেয়ে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।


গতকাল সোমবার পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২শ' ৯৯ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায়ই হচ্ছে ৫০২ জন। বলতে গেলে জেলার প্রায় অর্ধেক রোগী সদর উপজেলায়। যার শতকরা হার হচ্ছে ৩৮.৬৪%। আক্রান্তের প্রায় ৩৯ ভাগ সদর উপজেলায়। বাদবাকি ৬১ ভাগ অন্য সাত উপজেলায়। আক্রান্তের সংখ্যার আধিক্যের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ফরিদগঞ্জ। এ উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৫৩ জন।

 


এদিকে মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়েও চাঁদপুর সদর উপজেলায় বেশি। এ পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া জেলায় মোট ৬৬ জনের মধ্যে ১৯ জন সদর উপজেলার। এর পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে হাজীগঞ্জ। এ উপজেলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৬ জন। চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।

 


সূত্র থেকে আরো জানা যায়, গতকাল জেলায় মোট ১৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন। তবে সদর উপজেলায় আক্রান্ত এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক হলেও এর অধিকাংশই চাঁদপুর শহরের অর্থাৎ পৌর এলাকার। মৃত্যুর সংখ্যাও পৌর এলাকায় বেশি। পৌরসভার সব কটি ওয়ার্ডেই করোনায় আক্রান্ত রোগী কমবেশি রয়েছে। কিন্তু সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে এখনো তিনটি ইউনিয়ন করোনা মুক্ত। সে তিনটি ইউনিয়ন হচ্ছে হানারচর, রাজরাজেশ্বর ও তরপুরচ-ী। এদিকে আক্রান্ত পাঁচ শতাধিক রোগীর মধ্যে প্রায় দেড়শ'র মতো সুস্থ হয়ে গিয়েছে। অন্যরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।


চাঁদপুর শহরে আক্রান্ত বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, জেলার বাইরে থেকে অর্থাৎ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরে আসতে নৌ, সড়ক ও রেলপথকে ব্যবহার করা হয়। আর এ তিনটি রূটের একমাত্র এবং মূল ঘাট ও স্টপেজ হচ্ছে চাঁদপুর শহরে। তাই জেলার বাইরে থেকে যারা চাঁদপুর আসছে, তারা শহর হয়েই যার যার গন্তব্যে যাচ্ছে। এজন্যে চাঁদপুর শহরে এ রোগে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। এছাড়া এই শহরে এ পর্যন্ত লকডাউনের কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। পালবাজার, বাবুরহাট বাজারসহ বাজারগুলো সবসময়ই স্বাভাবিক ছিলো। সে জন্যে চাঁদপুর শহরে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বেশি।