• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব উত্তরে পারিবারিক কলহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা লাশ গুমের চেষ্টা

প্রকাশ:  ০১ জুলাই ২০২০, ১২:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গভীর রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মাথায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ওয়াসিম (৩২) নামে যুবককে হত্যা করে লাশ গুমের জন্যে ওয়াপদা খালে ফেলে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে মতলব উত্তর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। সোমবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টার পর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামের মৃত সাহেব আলী বেপারীর ছেলে ট্রলিচালক ওয়াসিম (৩২)কে তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান বেপারী ওরফে বালু মিজান মুঠোফোনে ডেকে নেয় কথা বলার জন্যে। এরপর আর ওয়াসিম ঘরে ফিরেনি। মঙ্গলবার সকালে বালু মিজানের ভাই আজাদ ওয়াসিমকে ডাকতে আসে। তারপর থেকে ওয়াসিমের খোঁজ শুরু হয়। মিজানের ঘরের পাশে মেঝেতে লেগে থাকা রক্ত পানি দিয়ে মুছতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। আশপাশে খোঁজ করে মিজানের ঘরের পাশে ওয়াপদা খালের পানিতে লাশ দেখতে পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ওয়াসিমের লাশ।


তারপর মতলব উত্তর থানা পুলিশকে অবহিত করলে এসআই আফসার উদ্দিন সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেন।

 


নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার জানান, রাতে ওয়াসিম ঘরেই ছিল। রাত আনুমানিক ১২টার পর তার ফোনে কল আসে। ওয়াসিম ঘর থেকে বের হওয়ার সময় জানতে চাইলে বলেন, মিজান ভাই আমাকে ফোন দিয়েছে কথা শোনার জন্য। এর কিছুক্ষণ পর ওয়াসিমের নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। সারা রাতেও তিনি ঘরে ফিরেন নি। সকালে আজাদ এসে ওয়াসিমের খোঁজ করে। তারপর মিজানের ঘরের সামনে রক্ত দেখে ওয়াসিমকে খুঁজতে নামি। মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা খালে ওয়াসিমের লাশ খুঁজে পাই। তিনি আরো বলেন, আমার বিয়ের পর থেকেই মিজানদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দেখছি। তারা আমার স্বামী ওয়াসিমকে কয়েকবার মারধরও করেছে।

 


মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করি। ওয়াসিমকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ওয়াপদা খালের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিনকে বাদী করে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতকদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত