• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৮২ আক্রান্ত সাড়ে ৭ শতাধিক

আক্রান্তের হার ২০.১৪% মৃত্যুর হার ৬.৬৫% সুস্থর হার ৩০.৬৭%

প্রকাশ:  ২৭ জুন ২০২০, ১২:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলায় বর্তমান করোনাকালে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে গতকাল। এ সংখ্যা হচ্ছে ৮২ জন। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিলো ৪৬ জন। সেদিন ৩৩৫ জনের রিপোর্টের মধ্যে ৪৬ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আর গতকাল ২৮০ জনের রিপোর্টের মধ্যে ৮২ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যার ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ হলো। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হচ্ছে আক্রান্তের হারের চেয়ে সুস্থ হওয়ার হার ১০ ভাগ বেশি।


গতকাল শুক্রবার চাঁদপুরে দুই দফা রিপোর্ট আসে। সকালে এক দফা রিপোর্টে ১৯৯ জনের মধ্যে ৪৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আর বিকেলে দ্বিতীয় দফা রিপোর্টে ৭৫ জনের মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৩৮ জনের। গতকাল একদিনে ২৮০ জনের রিপোর্টের মধ্যে মোট পজিটিভ আসে ৮২ জনের। যার শতকরা হার ২৯.২৮%। এছাড়া গতকাল আরো একজন মৃত পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তার নাম আব্দুল বারেক (৫৬)। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন।


এদিকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বর্তমান করোনাকালে চাঁদপুর জেলা থেকে ঢাকায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্যে মোট স্যাম্পল যায় ৪ হাজার ১শ' ৩১ জনের। এর মধ্যে রিপোর্ট আসে ৩ হাজার ৭শ' ২৮ জনের। এই ৩৭২৮ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৫১ জনের। যা শতকরা হারে ২০.১৪%। আর গতকাল পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে ২১৫ জনকে। যার শতকরা হার ৩০.৬৭%। আক্রান্ত এবং সুস্থ হওয়ার ব্যবধান হিসেব করলে দেখা যায় যে সুস্থ হওয়ার হার দশভাগ বেশি আছে।


এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ জেলায় মৃত্যুর হার বর্তমানে কিছুটা কমে এসেছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫০ জন। যা আক্রান্তের সংখ্যার সাথে শতকরা হার তুলনা করলে গিয়ে দাঁড়ায় ৬.৬৫%।


গতকাল শুক্রবার ২শ' ৮০ জনের রিপোর্টের মধ্যে যে ৮২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে উপজেলা ভিত্তিক এর সংখ্যা হচ্ছে : চাঁদপুর সদর ৩২, শাহরাস্তি ৬, হাজীগঞ্জ ৯, হাইমচর ১২, মতলব উত্তর ১০, কচুয়া ১, ফরিদগঞ্জ ৭ ও মতলব দক্ষিণ ৫ জন।


গতকাল পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ৩ হাজার ৭শ' ২৮ জনের। এর মধ্যে মোট আক্রান্ত হচ্ছে ৭শ' ৫১ জন। রিপোর্ট পেন্ডিং আছে ৪শ' ৩ জনের। আক্রান্ত ৭শ' ৫১ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৫০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২শ' ১৫ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৪শ' ৮৬ জন।

সর্বাধিক পঠিত