• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

করোনার স্যাম্পল দিতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে

প্রকাশ:  ২০ জুন ২০২০, ১৩:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

এখন থেকে করোনা টেস্টের জন্যে নমুনা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মসনদের মূলকপি/ফটোকপি প্রদর্শন করতে হবে। একই সাথে অঙ্গীকারনামাও স্বাক্ষর রাখা হবে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং করোনা বিষয়ক প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল ১৯ জুন শুক্রবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর শুরু হয়েছে। ফলে করোনার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসা লোকদের শনাক্তকরণ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


নমুনা প্রদানকারী কিছু লোক ইচ্ছে করে নিজের নাম ও পরিচয় গোপন করে অন্য নাম-ঠিকানা দিয়ে থাকে। এতে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাদের খুঁজে বের করতে অনেক সমস্যা হয়। বিশেষ করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এমন ঘটনা বেশি ঘটেছে। অন্য উপজেলার অনেকে সদর উপজেলার ঠিকানা দিয়ে এখানে নমুনা দিয়ে থাকে। এমনকি মোবাইল নাম্বারও রোগীর নিজেরটা না দিয়ে অন্য কারো নাম্বার দিয়েছে। পরে যখন সে রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে তখন ওই নাম্বারে ফোন করলে জেলার বাইরের লোক রিসিভ করতো। অন্যান্য উপজেলায়ও এমন কম-বেশি ঘটনা ঘটেছে। ফরিদগঞ্জের এমন একজন পজিটিভ রোগীর ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে তাকে চিকিৎসা ও লকডাউনের আওতায় আনা যায়নি।

 


২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, সিভিল সার্জন অফিস এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে কেউ করোনার নমুনা দিতে আসলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে আনতে হবে। আর যে বয়সের রোগীরা এখনও জাতীয় পরিচয়নপত্রে অন্তর্ভূক্ত হয়নি সেসব শিশু-কিশোরা জন্মসনদ নিয়ে আসবে। এটা মূলত ঠিকানা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। আর বিশেষ ক্ষেত্রে কেউ এসব দেখাতে না পারলে তাকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর/মেম্বার থেকে প্রত্যয়ন আনতে হবে। মূল কথা আমরা ব্যক্তির ঠিকানা নিশ্চিত হতে চাই।

এছাড়া জেলা পুলিশ থেকে প্রস্তুতকৃত অঙ্গীকারনামায়ও স্বাক্ষর রাখা হবে স্যাম্পল প্রদানকারীর। সে অঙ্গীকারনামায় নানা উপদেশ ও সতর্কতামূলক কথার মধ্যে মূল কথা থাকবে স্যাম্পল প্রদানকারী ব্যক্তি রিপোর্ট আসা পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। আর রিপোর্ট যদি পজিটিভ আসে তাহলে তাকে পুরোপুরি হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। অঙ্গীকারনামার শর্ত কেউ ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।