চাঁদপুর কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে নতুন ১৪ চিকিৎসক ও ১১ নার্স


বিশ্বব্যাপী অদৃশ্য সংক্রামক ভাইরাস করোনার চিকিৎসায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আওতাধীন প্রস্তুতকৃত ৩০ শয্যাবিশিষ্ট কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের জন্যে নতুন ১৪ জন চিকিৎসক ও ১১ জন নার্স নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হাসপাতাল ভবনের উত্তর পাশে থানায় প্রবেশের রাস্তা লাগোয়া 'সংক্রামক ব্যাধি' নামে এই ওয়ার্ডটি আগেও ছিলো। তবে এখানে আগে অন্য ডাক্তার বসতো।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সমপ্রতি সংক্রামক ভাইরাস কোভিড-১৯ তথা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সরকার সারাদেশে নতুন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়। নিয়োগকৃতদের মধ্য থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৩০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের জন্যে নতুন ১৪ জন চিকিৎসক ও ১১ জন নার্স বা সেবিকাকে এ হাসপাতালে পদায়ন করেছে। এ সকল পদায়নকৃত চিকিৎসক ও নার্স বা সেবিকাগণ আগামী ১৮ মে থেকে জেলার কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে যোগদান করবেন।
জানা যায়, নিয়োগকৃত চিকিৎসক ও নার্সগণ শুধুমাত্র কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে আপাতত করোনা সংক্রামক ভাইরাস চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকবেন। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ প্রয়োজনে জেলার কোনো উপজেলায় কোভিড-১৯-এর কোনো চিকিৎসা সেবার কাজে তাদের পদায়ন করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কোভিড-১৯-এর বিষয়ে জেলার ফোকালপার্সন আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, নতুন নিয়োগকৃত চিকিৎসক ও নার্সগণ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শুধুমাত্র কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে বা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবার আইসোলেশন বিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন। এ দুর্যোগ মোকাবেলা করে কাটিয়ে ওঠার পর সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নতুন নিয়োগকৃতরা শুধু কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ কোনো প্রয়োজনে তা-ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বিষয়ে জেলার যে কোনো উপজেলায় প্রয়োজনে এদের পদায়ন করা যাবে। আপাতত সরকারের এ ধরনের নির্দেশনা রয়েছে।