আজ থেকে জেলেরা বৈধভাবে মাছ ধরতে পারবে
এবার দুই মাস নদী ছিলো জেলেদের দখলে


আজ ১ মে থেকে পদ্মা-মেঘনায় জেলেরা বৈধভাবেই মাছ ধরতে পারবে। গত দুই মাস (মার্চ-এপ্রিল) নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জেলেরা নদীতে মাছ ধরেছে ব্যাপকহারে। বলতে গেলে বিনা বাধায়ই তারা মাছ ধরেছে। তবে এ ধরাটা ছিলো অবৈধ। আর আজ থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এখন জেলেদের মাছ ধরাটা বৈধভাবেই হবে।
মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণের জন্যে প্রতি বছর সরকার এ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। পদ্মা-মেঘনার অববাহিকা মাছের জন্যে এ দু মাস অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়।
চাঁদপুরে অন্যান্য বছর এ অভয়াশ্রম মোটামুটিভাবে বাস্তবায়ন হলেও এবারের চিত্র ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার পুরো দু মাসই সম্পূর্ণ নদী জেলেদের দখলে ছিলো। বলতে গেলে বিনা বাধায় তারা ব্যাপকহারে জাটকা নিধন করেছে। জাটকা বিক্রিও হয়েছে প্রকাশ্যে। নদীতে কি ডাঙ্গায় কোথাও কোনো বাধা ছিলো না। তবে এর জন্যে জেলেদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রশাসনের সকল স্তর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে ব্যস্ত থাকার সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে জেলেরা। নদীতে শত শত জেলে নৌকা দিনদুপুরে বিনা বাধায় জাটকা নিধন করেছে। আর এক্ষেত্রে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে নৌপুলিশের বিরুদ্ধে। চাঁদপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি, আলুরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এবং নীলকমল ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ তাদের সহায়তায় এবার জেলেরা ছিলো বেপরোয়া। প্রতি জেলে নৌকা থেকে টোকেন বাণিজ্যের মাধ্যমে নৌ পুলিশ জাটকা ধরার সুযোগ করে দিতো বলে খোদ জেলে এবং প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করেন।
এদিকে চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের স্থায়ী স্টেশন থাকা সত্ত্বেও চাঁদপুর নৌ-সীমা এভাবে অরক্ষিত থাকায় এবং জেলেরা ব্যাপকহারে জাটকা নিধন করায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চাঁদপুরের সচেতন জনগণ।
গত দুই মাস টাস্কফোর্সের তত্ত্বাবধানে যে কিছু অভিযান হয়েছে, এটিকে আইওয়াশ হিসেবে দেখছেন চাঁদপুরবাসী। অনেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্ষেপ করে বলেছেন, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় জেলেদের সহায়তা বা চাল দেয়া বন্ধ করে দেয়া হোক। কারণ সরকারের চাল নিয়েই তারা জাল নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে যায়। আর তাদেরকে সহযোগিতা করে নৌ-পুলিশ।