চাঁদপুরে সাড়ে ৪ হাজার কৃষক পেলো সাড়ে ২২টন বীজ


করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাঁদপুর জেলার সাড়ে ৪ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে সাড়ে ২২ টন বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আউশ মৌসুমে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে এসব কৃষিসামগ্রী বিতরণের ফলে নিবিড় ফসল উৎপাদনের আওতায় জেলায় প্রায় ১০ হাজার ৬’শ ৮৭ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ সম্ভব হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ২ দফায় প্রত্যেক কৃষককে পাঁচ কেজি আউশ বীজ, ২০ কেজি ডাই অ্যামুনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার ও ২০ কেজি মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২৭শে এপ্রিল) জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নরেশ চন্দ্র দাস জানান, আউশ প্রণোদনা হিসেবে জেলায় সাড়ে হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আউশ উৎপাদন হয় না। তাই এই ২ উপজেলা বাদে সদর উপজেলার ৩’শ কৃষক, কচুয়ায় ১ হাজার ৮’শ, ফরিদগঞ্জে ২’শ ৫০, মতলব উত্তরে ১ হাজার ২’শ, শাহরাস্তিতে ৬’শ এব হাইমচরে ৩’শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে এই প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ বছর জেলায় মোট ১০ হাজার ৬’শ ৮৭ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২’শ ৯৫ হেক্টর স্থানীয় জাতের ও ১০ হাজার ২’শ ৪২ হেক্টর উফশী জাতের এবং ১’শ ৫০ হেক্টর হাইব্রিড জাতের আউশ রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মোঃ আবদুর রশীদ জানান, আউশ বৃষ্টি নির্ভর ফসল। তবে চাঁদপুরের এই বৃষ্টি আউশ আবাদে কোন ক্ষতি হওয়ায় সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এই অঞ্চলের কৃষক সাধারণত আউশ আবাদে কম আগ্রহী। তাই আউশ আবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যে ৫ই ফেব্রুয়ারী ১ম পর্যায়ে সাড়ে ৩ হাজার কৃষককে ২৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার বীজ এবং ৮ই এপ্রিল ২য় পর্যায়ে আরো ১ হাজার কৃষককে মোট ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। ঐ সময় কৃষি বিভাগ থেকে আমরা বীজ সহায়তা হিসেবে কৃষকদের মধ্যে আরও দেড় টন বীজ বিনামূল্যে সহায়তা দিয়েছি।