• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

কোভিড-১৯ হেল্পলাইন লাইভে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ

যারা করোনায় আক্রান্ত হন তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করুন, তারা তো পাপী নন

প্রকাশ:  ২৯ এপ্রিল ২০২০, ১৩:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

'করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হন, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করুন। তারা তো পাপী নন। ইচ্ছা করে তো আর কেউ এ রোগে আক্রান্ত হন না। এটি একটা ভাইরাস। যে কাউকে যখন তখন আক্রান্ত করতে পারে যদি সে নিয়ম না মানে। তাদের নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। তিনি নির্দিষ্ট একটা সময় ঘরে থাকলে এমনিতেই সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, দু-একটি ঘটনার দ্বারা আমরা দেখতে পাচ্ছি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে খুবই অমানবিক আচরণ করা হয়ে থাকে। তাকে বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না, ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। এসব খুবই দুঃখজনক।' সমপ্রতি চাঁদপুরের কয়েকটি ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে এ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ এভাবেই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেন।

তিনি 'কোভিড-১৯ হেল্পলাইন, ইউএইচএফপিও চাঁদপুর সদর' নামে যে ফেসবুক পেজ চালু করা হয় গত সোমবার এ পেইজে লাইভে এসে জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

তিনি চাঁদপুরে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বলেন, আমরা শুরুতে খুব ভালোভাবে এটিকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। বিদেশ থেকে এই জেলায় ৫ হাজার ১শ' ৪৮ জন এসেছিলো। তাদেরকে আমরা হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করি। সকলেই নির্দিষ্ট মেয়াদে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। কিন্তু যখনই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ আক্রান্ত জেলাগুলো থেকে প্রায় দেড় হাজার মানুষ চাঁদপুরে চলে আসে, তখনই এ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হতে থাকে। প্রথমে মতলব উত্তরে যে ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। পরে অবশ্য আমাদের প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসায় তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। এভাবেই আক্রান্ত অন্য জেলা থেকে মানুষ এ জেলায় ঢুকে পড়লে এ জেলাও করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে যায়। তবে এখন আল্লাহর রহমতে আমরা ভালোর দিকে যাচ্ছি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই ভালো হয়ে যাচ্ছেন। সিভিল সার্জন খুব জোর দিয়ে বলেন, এ রোগ থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে ঘরে থাকা। এর বিকল্প কিছু নেই। আর অতীব প্রয়োজনে বের হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আবার ঘরে ফেরার সময় নিজেকে পুরোপুরি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ঘরে ঢুকতে হবে। কাউকে করোনা সন্দেহ হলে সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তার বাড়িতে গিয়ে স্যাম্পল নিয়ে আসি। এর জন্যে হাসপাতালে আসতে হয় না। এছাড়া আমরা হাসপাতালে ফ্লু কর্নার চালু করেছি। এখানে এসেও স্যাম্পল দেয়া যায়। যারা ঘরে থাকবেন, তাদের শারীরিক নানা অসুস্থতার বিষয়ে আমরা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকি। তারপরও মানুষ যেনো ঘর থেকে বের না হন।

সিভিল সার্জন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা বেগম পলিনের পরিকল্পনায় ও তত্ত্বাবধানে এ ধরনের একটি সময়োপযোগী কার্যক্রম চালু করে এটিকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে রাখার জন্যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।