• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

নিরবে কাজ করে যাচ্ছে চাঁদপুরের খাদ্য সৈনিকেরা

প্রকাশ:  ২১ এপ্রিল ২০২০, ১৭:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বর্তমানে বাংলাদেশ খুব দ্রুতই কোভিড ১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১১(১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হল।” ইতোমধ্যে চাঁদপুরে ২ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে যাদের কোভিড ১৯ পজিটিভ। সে হিসেবে চাঁদপুর জেলাও নিরাপদ নয়। জেলা প্রশাসন জরুরি বিভাগ ছাড়া সমস্ত অফিস - আদালত লক ডাউন করে দিয়েছে। যারা জরুরি বিভাগের আওতায় পড়েছে তাদের সরকার বিভিন্ন রকম প্রনোদনা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম দিচ্ছে। অথচ এথেকে বঞ্চিত চাঁদপুর এর খাদ্য সৈনিকেরা। সরকারের ত্রাণের চাল সহ ভিজিডি, ভিজিএফ, ওএমএস, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর বরাদ্দকৃত চাল প্রতিদিন চাঁদপুর সিএসডি থেকে বের হচ্ছে। এখানে খাদ্য কর্মকর্তা ছাড়াও কাজ করছে প্রায় শ'খানেক শ্রমিক। অথচ তাদের জরুরি বিভাগের আওতায় কেউ ফেলছেনা। এ বিষয়ে চাঁদপুর সিএসডি এর ম্যানেজার জনাব শাহীন আফজালের সাথে কথা বললে উনি জানায়, খাদ্য হচ্ছে মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা। দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছি সুষ্ঠু ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণ সহ অন্যান্য বরাদ্দ সঠিক ভাবে বিলি করতে। চাঁদপুর সিএসডি এর গুদাম ইনচার্জ জনাব তামীম হাসান জানায়, প্রতিদিন সিএসডি তে পণ্য গ্রহণ ও বিতরণ হয়। দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে যদি ত্রাণ সহ অন্যান্য খাতের বিলি বিতরণ আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারি এর চেয়ে আনন্দের আর কিছুই হতে পারেনা। প্রনোদনা নয় মানবিক দিক বিবেচনায় মানুষের সামান্যতম উপকারে যদি আসতে পারি তাতেই আমাদের স্বার্থকতা। সিএসডি এর লেবার ইউনিয়ন এর সভাপতি জনাব আঃ রাজ্জাক জানায়, আমদের এখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শখানেক শ্রমিক কাজ করে তারাও তো হত দরিদ্র। তাদের পরিশ্রমে সবাই ত্রাণ পায় অথচ দিন শেষে তারা থাকে শূণ্য৷ সরকার যদি তাদের কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে তারাও উপকৃত হতো। তিনি যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। শুধু ডাক্তার আর পুলিশ নয় দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে খাদ্য সৈনিকদের অবদান ও কম নয়।