লকডাউনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুরতে এসে জরিমানা প্রদান


লকডাউনের মধ্যে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে ঘুরতে এতে ভ্রাম্যামাণ আদালতের সামনে পড়ে জরিমানা গুণলেন জনৈক ব্যক্তি। গতকাল রোববার ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জ বাজারে। এ সময় আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ওই ব্যক্তিকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে গেলে উল্টো ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, জরিমানা দিয়েছি আর এসব শুনে লাভ কী।
একইদিন আদালত উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া। এমন বিষয়টি এ ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তাঁর ফেসবুকে তুলে ধরেন।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, 'এখনো পুরো পরিবারসহ বাজারে বেড়াতে আসে মানুষ... বুঝানোর আশা ছেড়েই দিলাম। উল্টো আমাদেরকেই বুঝাতে আসে, জরিমানা তো দিলাম, এতো কথা আর না শুনি, এবার ঘুরে বেড়াই...।'
হাজীগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন এবং লকডাউন নিশ্চিতকরণে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনএ) বৈশাখী বড়ুয়া।
এদিন উপজেলা সদর হাজীগঞ্জ বাজার, উপজেলার পালিশারা বাজার, সেন্দ্রা বাজার এবং কাশিমপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং ইউনিয়নস্থ রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সীমান্তের ডাটরা এলাকার প্রবেশপথ বন্ধ করা হয়। ওই স্থানে ২৪ ঘণ্টা পাহারার জন্যে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। যাতে করে দুই উপজেলার বাসিন্দারা যাতায়াত করতে না পারে।