কচুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারধর আহত ৮


কচুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, বসতঘর ভাংচুর ও অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের বড় হায়াতপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সুনিল সরকারের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন সন্ধ্যায় পর্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া গ্রামের তরকারি বিক্রেতা শামীম, মাসুদ ও রেদোয়ান সুনিলদের বাড়িতে তরকারি বিক্রি করতে আসে। এসময় তারা ওই বাড়ির নারীদেরকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করে। প্রতিবাদস্বরূপ সুনিলের স্ত্রী অংকুরী রাণী তরকারি বিক্রি করে দ্রুত চলে যেতে বললে তরকারি বিক্রেতাগণ অংকুরী রাণী ও তার ছেলে সজীব সরকারের সাথে বাক-বিত-ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর দিলে ডুমুরিয়া, বাসাবড়িয়া, দরিয়া হায়াতপুর এলাকার ২০/২৫ জন বহিরাগত লোক এসে সুনিলের ঘরে প্রবেশ কারে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও সুনিলের স্ত্রী অংকুরী রাণী, তার ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী রাণীকে মারধর করে দু'জনের গলার দুটি স্বর্ণের চেইন ও ৩টি মোবাইল ফোন সেট নিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ সময় রপন সরকার, শ্যামল বৈদ্য, নিশান সরকার, খোকন সরকার, সজীব সরকার ও কসুম সরকার আহত হয়। আহতদেরকে শুক্রবার রাতেই কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনিয়ে গেলে কর্মর্রত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আহতদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় গত শনিবার সুনিল সরকার ডুমুরিয়া গ্রামের সোহাগ হোসেন, দরিয়া হায়াতপুর গ্রামের সাইদুল, বাসাবাড়িয়া গ্রামের রহমত আলীসহ এজহার নামীয় ১৪জন ও অজ্ঞাত ৮/১০জনকে বিবাদী করে কচুযা থানায় একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর শনিবার কচুয়া থানা পুলিশ সুনিলের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সুনিল সরকার এ ঘটনার বিচার ও প্রশাসনের নিকট দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কচুয়া থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।