অবশেষে চাঁদপুর শহরের পালবাজারসহ প্রধান পাঁচটি বাজার স্থানান্তর হচ্ছে


চাঁদপুরের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকা এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে লেখালেখির পর অবশেষে স্থানান্তর হচ্ছে চাঁদপুর শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজার পালবাজারসহ মোট পাঁচটি বাজার। বাজারগুলো হচ্ছে : বাবুরহাট বাজার, ওয়্যারলেস বাজার, বিপণীবাগ বাজার, পালবাজার ও নতুনবাজার। এই পাঁচটি বাজার কাছাকাছি বড় জায়গায় আরো বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তর করার কাজ চলছে। আজ থেকেই বাজারগুলো স্থানান্তর কাজ শুরু হয়ে যাবে। নতুন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানপাট বসবে এবং ক্রেতাদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা নিশ্চিত করা হবে। এই বাজারগুলোতে প্রতিদিন মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকে। যা বর্তমান করোনাভাইরাসের জন্যে খুবই ঝুঁকির বিষয়। তাই জনগণের দাবি উঠে ছিলো বাজারগুলো অন্যত্র স্থানান্তর করতে।
গতকাল রোববার চাঁদপুর শহরের উপরোক্ত পাঁচটি বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ ও চেম্বার নেতৃবৃন্দসহ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার শাখা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সকলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে বাবুরহাট বাজার, ওয়্যারলেস বাজার, বিপণীবাগ বাজার, পালবাজার ও নতুন বাজারের কাঁচামাল, মাছ ও মাংসের দোকানগুলো আজ এবং আগামীকাল থেকে যথাক্রমে বাবুরহাট কলেজ মাঠ, ওয়্যারলেস-গাছতলা ব্রীজ রাস্তার দু'পাশে, চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠ, পৌর ঈদগাহ এবং নতুনবাজার এলাকার রাস্তার দু পাশে (পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখে) বসবে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যে গতকাল রোববার চাঁদপুর চেম্বার, পুলিশ বিভাগ, পৌরসভার সচিব, জেলা বাজার কর্মকর্তা, ৫টি বাজারের সভাপতি ও সেক্রেটারী এবং ইজারাদারগণকে নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ সভায় করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
এছাড়া শহরের অন্যান্য স্থানে কোনো কাঁচাবাজার বসতে পারবে না এবং ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোকেও ঐ নির্ধারিত স্থানে বসতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে।