জিল্লুর রহমান জুয়েলের ত্রাণ পৌঁছে গেলো পাঁচ মিনিটে


'বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে ফোন করে কিউআরসি'র অন্যতম সক্রিয় সদস্য মোঃ মেহেদী হাসানকে বলা হলো, মেহেদী একজন পঙ্গু লোক শহরের কোর্টস্টেশন এলাকায় চাঁদপুর মেডিকেল হলের এক পাশে বসে ভিক্ষা করছে, সম্ভব হলে তাকে একটি ব্যাগ খাবার পেঁৗছে দিও। তখন মেহেদী বললো, ভাই ওই লোক কি এখনো আছে সেখানে? ফোনকারী ব্যক্তিটি বললেন, এখনো আছে। মেহেদী বললো, ভাই পাঁচ মিনিটের মধ্যে পেঁৗছে যাবে। পাঁচ মিনিট! কিছুটা অবিশ্বাস্য মনে হলো। কীভাবে সম্ভব? কিন্তু না। কোনো অবিশ্বাস বা সন্দেহ নয়। পাঁচ মিনিট পার না হতেই ৩টা ৩৯ মিনিট হওয়ার আগেই কিউআরসির বাইক রাইডার্স সদস্য দুজন এক ব্যাগ খাদ্যপণ্য নিয়ে হাজির হলো সেই পঙ্গু ব্যক্তিটির সামনে। বলা হলো, জিল্লুর রহমান জুয়েল ভাইয়ের পক্ষ থেকে এই উপহার। তারা কিন্তু ত্রাণ বলেনি, তারা বলেছে উপহার। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম। আর ভাবলাম, সত্যিই আসলে একজন মানবদরদী মানুষ জুয়েল ভাই। তাঁর কিউআরসির সদস্যরাও সে রকম।'
এ ঘটনাটি গতকাল সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের। এই প্রতিবেদক নিজেই এর প্রত্যক্ষদর্শী। আর প্রতিবেদক নিজেই কিউআরসির মেহেদীকে ফোন করে বলেছিলেন ওই পঙ্গু ব্যক্তিকে ত্রাণ পেঁৗছে দিতে। পাঁচ মিনিট না হতেই ওই ব্যক্তির হাতে ত্রাণ পেঁৗছে যাওয়ার দৃশ্য দেখে প্রতিবেদকসহ আশপাশের মানুষ হতবাক।
শুধু কালকেই নয়, এই প্রতিবেদক আরো কয়েকদিন আগে দুপুরে কিউআরসির অফিসে গিয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ছয়জনের নাম ঠিকানাসহ একটি তালিকা দিয়ে আসলেন তাদের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পেঁৗছে দিতে। সেদিন সন্ধ্যায়ই পেঁৗছে গেছে প্রত্যেকের ঘরে খাদ্য সহায়তা।
বর্তমান করোনা মহামারীর এ দুর্যোগের সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলকে মানুষের পাশে এভাবে দাঁড়াতে দেখে সত্যিই মানুষ অভিভূত এবং তাঁর স্বেচ্ছাধীন সার্ভিসে মানুষ সন্তুষ্ট।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে বিরতীহীনভাবে এখনো চলছে জুয়েলের ঘরে ঘরে ত্রাণ পেঁৗছে দেয়া কার্যক্রম।