• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

মাসিক কিস্তি বন্ধ হয়নি মোটরযানের

শাহরাস্তিতে প্রায় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপাকে

প্রকাশ:  ১৩ এপ্রিল ২০২০, ১৪:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ব্যবহার হয়ে আসছিলো ট্রাক্টর। জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তার দানব নামে কুখ্যাত ট্রাক্টর চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে বিগত ক’বছর ধরে শাহরাস্তি উপজেলার রাস্তাগুলোতে আর দেখা যাচ্ছে না এ যন্ত্রদানবকে। শাহরাস্তি উপজেলার বিশেষ করে ইট, বালু, মাটি কাটা ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে এ ট্রাক্টরের অবাধ বিচরণ ছিলো। ট্রাক্টর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এক্ষেত্রে যারা জড়িত ছিলো তারা বিপাকে পড়েন। ট্রাক্টরের বিকল্প হিসেবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা তৎক্ষণিক হাইড্রোলিক ড্রামপারকে বেছে নেন। সাধারণ ব্যবসায়ীরা কিছু টাকা জমা দিয়ে কিস্তির মাধ্যমে এ গাড়ি ক্রয় করেন। বর্তমানে শাহরাস্তি উপজেলায় প্রায় শতাধিক এমন গাড়ি রয়েছে। দু-একটি ছাড়া প্রায় সবক’টি কিস্তিতে নেয়া।

ক’জন ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, গাড়িগুলোর মূল্য ২৫-২৬ লাখ টাকা। কিন্তু কিস্তিতে ক্রয় করার কারণে গাড়িগুলোর মূল্য পড়ে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হয় ৫৫-৮০ হাজার টাকা। উপজেলার ব্যবসায়ীরা রানার মটরস্ লিমিটেডের নিকট থেকে এ গাড়িগুলো ক্রয় করেন। বর্তমানে করোনার প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় গাড়িগুলো বন্ধ রয়েছে। এর উপর রানার মটরস্ থেকে তাদের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্যে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন প্রায় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

উপজেলার ব্যবসায়ী মানিক, ইউনুছ গাজী, মিন্টু, মহসীন, শফিক জনান, তারা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। গাড়ির শ্রমিকগুলোও বেকার হয়ে পড়েছে। সরকার বিভিন্ন কিস্তি না উঠাতে বারবার বললেও গাড়ির কিস্তির জন্যে তাদের বলা হচ্ছে, এ নিয়ে তারা বেকায়দায় রয়েছে। তাই এ ক্ষুদ্র ব্যবাসায়ীরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে রানার মটরস্ কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।