• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

হোম কোয়ারেন্টাইন কাগজে কলমে ॥ বাস্তব চিত্র ভিন্ন

প্রকাশ:  ১১ এপ্রিল ২০২০, ১২:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলাকে এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত জেলা বলা যেতে পারে। যদিও এই রোগী একজন শনাক্ত হয়েছে, কিন্তু এখানে দেখতে হবে আক্রান্ত লোকটি কে? সে কোন্ জায়গা থেকে এসেছে। মতলব উত্তরে শনাক্ত হওয়া রোগীটি যেহেতু নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে, সেজন্য এখানে ‘একজন’ হিসেব করে নরমালভাবে দেখা ঠিক হবে না। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে এসে চাঁদপুর ঢুকে পড়েছে এমন হিসেব সরকারিভাবেই ৫৯৪ জন। আর হিসেবের বাইরে কত সংখ্যক আছে তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে? আর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে দেশের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক দিয়ে শীর্ষ দুই মহানগর ও জেলা। এতেই বলা যাচ্ছে চাঁদপুরের অবস্থা এখন কোন্ পর্যায়ের।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন থেকে শুধু বলা হচ্ছে যারা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ অন্য জেলা থেকে চাঁদপুর ঢুকে পড়েছে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছেÑএরা কি আসলেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছে? এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে কে? নাকি শুধু ঘোষণা আর কাগজে-কলমেই হোম কোয়ারেন্টাইন। যেমন মতলব উত্তরে যে লোকটির করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেলো, তার কাছ থেকে নমুনা নেয়ার সময় থেকেই তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে, সে ঘরের মধ্যে মোটেই ছিলো না। সে ঘর থেকে বের হয়েছে, বাজারে গিয়েছে, ঘোরাফেরা করেছে। এখন তার দ্বারা কত সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হলো তার হিসেব কি করা যাবে? ওই লোকটির নিকটতম প্রতিবেশীর বক্তব্য হচ্ছে : সে যে হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তা উপজেলা প্রশাসন এবং থানাকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউই আমলে নেননি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও একই কথা বললেন। একটির উদাহরণ দিয়েই তো বুঝা যাচ্ছে আসলে বাস্তবে কী হচ্ছে। আর এর দায় কি শুধু প্রশাসনের একার? জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এলাকার সচেতন জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের। কেউই এর দায় এড়াতে পারবে না।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে যে, সেনাবাহিনীকে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে মূলত হোম কোয়ারেন্টাইন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে। কিন্তু তারা এ বিষয়টি কতটুকু নিশ্চিত করেছেন তা জনগণই ভালো বলতে পারবে।

এখন চাঁদপুর জেলাবাসীর বিনীত অনুরোধ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি, তাঁরা যেনো সমন্বিতভাবে, বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিকল্পনা গ্রহণ করে বর্তমান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এ কাজে যেনো বুদ্ধিদীপ্ত চৌকষ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করা হয়।