• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

নারায়ণগঞ্জসহ কয়েক জেলা থেকে পালিয়ে আসায় করোনা ভাইরাস সন্দেহ

চাঁদপুর সদরের চারটি ইউনিয়নের ২১ বাড়ি লকডাউন

বালিয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৮ জন

প্রকাশ:  ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১২:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনায় আক্রান্ত দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জেলা নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষজন চাঁদপুর পালিয়ে আসছে। এছাড়া আরো কয়েকটি উপজেলা থেকেও পালিয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আসা-যাওয়া তো নিষেধ রয়েছেই এমনকি ঘর থেকেও প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। তাই অন্য জেলা থেকে চাঁদপুরে মানুষ ঢুকে পড়ায় এখন সে গ্রামগুলো লকডাউন করে দেয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাস সন্দেহে এবার চাঁদপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ২১টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া বালিয়া ইউনিয়নের তিন গ্রামের ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন চারটি হচ্ছে চান্দ্রা, বালিয়া, মৈশাদী ও লক্ষ্মীপুর।

গতকাল ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া, বাখরপুর ও মদনা এ তিন গ্রামের ১৩ জন ব্যক্তির ঘরসহ বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়। অপরদিকে মৈশাদীর হামানকর্দ্দি গ্রামের মৃধা বাড়ির একটি ঘর লকডাউন করা হয়েছে।

আর বালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বালিয়ায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন, কুমুরুয়া গ্রামে ২ ভাই ও দক্ষিণ চাপিলা গ্রামের ১ জনসহ মোট ৮ জন আছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী, বালিয়ার চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও মৈশাদী ইউপি সচিব এমকে মানিক। এরা সবাই নারায়ণগঞ্জের চলমান লকডাউন থেকে চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে এসেছে।

১২নং চান্দ্রা ইউপির চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী জানান, নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি ভালো নয়। সেখান থেকে অনেকে গ্রামের বাড়িতে আসার খবর দেয় এলাকাবাসী। আমি বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ইউএনও ও থানার ওসিকে অবগত করলে পরিষদের সদস্যদের ও গ্রামপুলিশ নিয়ে যারা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন, প্রত্যেকের বাড়ির সামনে লাল নিশানা টানিয়ে লকডাউন ঘোষণা করে তাদেরকে ঘর থেকে বের না হবার নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করা হয়। এ সময় মডেল থানার এসআই আওলাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লকডাউনে থাকা বাড়িগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।

বালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন পথে গতকালও নারায়ণগঞ্জ থেকে আমার ইউনিয়নে আরো ৮ জন ঢুকেছে। গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নিজেদের ঘরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে সোমবার তিনটি ও গতকাল ২টি বাড়ি এ ইউনিয়নে লকডাউন করা হয়।

মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মানিক জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে বাবা ও ছেলে ২ জন মৈশাদীতে এসেছে।

লোক মারফত চেয়ারম্যান সাহেব জানতে পেরে প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে গ্রামপুলিশ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মীদের উপস্থিতিতে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃধা বাড়ির সেলিম মৃধার বাড়িটি লকডাউন করা হয়। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নেও দু জন নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে আসায় সে দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের এ পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকজনের মধ্যে করোনা ভাইরাস থাকতে পারে এ আশঙ্কায় সংক্রমণরোধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।