মেয়র প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েলের সিআরসি কার্যক্রমের সাফল্য
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজন ভর্তি
জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩৩১জন


আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। এই প্রথম এই হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাউকে ভর্তি করা হলো। তবে তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায় নয়। তার বাড়ি হচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলায়। তাকে গতকাল শুক্রবার সকালে নাজমুল হাছান বাঁধন নামে এক সাংবাদিক চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের ডাক্তাররা তার অসুস্থতার আলামত দেখে কিছুটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এই কাজটি চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েলের গঠিত সিআরসি অর্থাৎ ‘কুইক রেন্টাল সার্ভিস’-এর সাফল্য।
মেয়র প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েল করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে চাঁদপুর পৌরবাসীকে দ্রুততার সাথে সেবা দেয়ার জন্যে ‘সিআরসি’ অর্থাৎ কুইক রেন্টাল সার্ভিস নামে একটি সেবাধর্মী কার্যক্রম চালু করেন। সেখানে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়। যেটি গত দু’দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়। সেই নাম্বারের মধ্যে সাংবাদিক নাজমুল হাছান বাঁধনের নাম্বারও রয়েছে। বাঁধন জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র এক কর্মকর্তা তার নাম্বারে ফোন করে জানান, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে একটি ছেলে খুব অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। কেউ ভয়ে তার কাছে যাচ্ছে না। এ খবর শুনে বাঁধন জিল্লুর রহমান জুয়েলের সিআরসি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দ্রুত লঞ্চঘাটে ছুটে যান। বাঁধন ঘাটে গিয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে অসুস্থ ওই ছেলেটির সাথে কথা বলেন। তখন বুঝা গেলো সত্যিই সে অসুস্থ। বাঁধন তখন একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে তাকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এর আগেই নিজস্ব মোটরসাইকেল নিয়ে বাঁধন হাসপাতালে চলে আসেন। এরপর ওই রোগী হাসপাতালে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে দেখে কিছুটা গুরুতর অসুস্থই মনে হলো। তখন হাসপাতালের দুইজন আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল এবং ডাঃ আসিবুল হাসান ওই রোগী দেখে তাকে কিছুটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হয়। তখন তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। সে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে থেকে লঞ্চে লঞ্চে মিনারেল ওয়াটার বিক্রি করতো। গত সপ্তাহখানেক হয় তার জ্বর, সর্দি, কাঁশি এবং শ^াস কষ্ট। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মাহবুবুর রহমান এবং আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, হাসপাতাল থেকে আইইডিসিআর-এ যোগাযোগ করার পর সেখান থেকে লোক এসে আলামত নিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রেজাল্ট কাল (আজ) চলে আসবে। তখন বুঝা যাবে সে করোনায় আক্রান্ত কি না। তবে ডাঃ রুবেল জানান, সে করোনায় আক্রান্ত নাও হতে পারে।
এদিকে গতকাল সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্র্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, গতকাল চাঁদপুর জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩৩১জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু হাইমচরে একজন বিদেশ তথা ভারত থেকে এসেছে।