করোনা আতঙ্ক : প্রশাসনের কড়াকড়িতে বেকায়দায় নিম্ন আয়ের মানুষ


চাঁদপুরে করোনা আতঙ্কে কর্মে অনিয়মিত হয়ে গেছেন শ্রমজীবী ও নি¤œ আয়ের মানুষ। করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে প্রশাসনের কড়াকড়িতে প্রায় অচল চাঁদপুর। ব্যক্তিগতভাবে মন্দায় পড়ে বেকায়দায় পড়েছেন মানুষ। কাজ-কর্ম বন্ধ, আয়-রোজগার নেই। কিভাবে জীবন বাঁচাবে বা করোনা থেকে রক্ষা পাবে কিনা এমন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ। চারদিকে আতঙ্ক আর অনিশ্চিয়তা বিরাজ করছে।
সম্প্রতি বিশে^র অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন মারা গেছেন। দেশব্যাপী সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে চালানো হচ্ছে প্রচারণা। ফলে এই মুহূর্তে ঝুঁকি নিতে রাজি নন কেউ-ই। তারপরও অনেক সময় কাজে যেতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। করোনা আতঙ্কে কর্মে অনিয়মিত হয়ে উপার্জন কমে যাওয়ায় ব্যক্তিগতভাবেও অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছেন তারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনের চাঁদপুর হোটেলের কর্মচারী রিপন (৩৫) জানান, তিনদিন যাবত তাদের হোটেল বন্ধ থাকায় বেকার রয়েছেন। কাজ করলে দৈনিক ৫শ’ টাকা পেতেন। সংসার নিয়ে চিন্তায় আছেন।
পুরাণবাজার মোম ফ্যাক্টরীর বাসিন্দা জাকির কাজী জানান, কাম-কাজ নেই। ৪/৫ দিন বেকার। অর্থের দিক থেকে দুর্বল। ঘরে খোরাকি নাই। নতুন রাস্তার মোড় এলাকার অটোবাইক ড্রাইভার ছিডু বেপারী (৪৫) জানান, রাস্তায় গাড়ি বের করলে পুলিশে ধরে। কষ্ট পেলেও সরকারের নির্দেশ মেনে চলছেন।
সাজঘর ডেকোরেটরের মালিক গোবিন্দ মন্ডল জানান, দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আছি। কবে নাগাদ আমরা এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাবো সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
মসজিদ পট্টির দোকান কর্মচারী মহসিন (৩০) জানান, দোকানপাট বন্ধ থাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা এখন বেশি। এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।