• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মুক্তিযোদ্ধার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ভাংচুর করে মাহফিল বন্ধ করার অভিযোগ!

প্রকাশ:  ০৪ মার্চ ২০২০, ১২:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মুক্তিযোদ্ধার প্রতিষ্ঠিত একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ভাংচুর করে মাহফিল বন্ধ করার অভিযোগ করেছেন খোদ মুক্তিযোদ্ধা নিজেই। ঘটনাটি একটি স্বার্থান্বেষী মহল করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ পশ্চিম পাড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকায়।

জানা গেছে, পাতানিশ পশ্চিম পাড়া ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা ও স্থানীয় শিশু-কিশোরদের ইসলামী জ্ঞান অর্জন ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর আগে মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহমদ। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় কয়েকজন স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধিতা করে আসছে বলে জানান তিনি।

এই স্বার্থান্্েবষী মহলের বিরোধিতার ফলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসাটি ভাংচুর হয়। মাদ্রাসায় ২৯ ফেব্রুয়ারি মাহফিল হওয়ার কথা ছিলো। মাহফিল যেন না হতে পারে সেজন্য মাহফিলের প্রধান বক্তাসহ অন্যান্য আলেমদের তারা হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এতে করে মাহফিল বন্ধ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় বেশ ক'জন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, কিছু লোকের কারণে মাহফিল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তাদের নাম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। এলাকার শিশু-কিশোরদের আরবী পড়ার তাগিদে ফের মাদ্রাসাটি চালু করার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহমদ বলেন, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্যে সরকারি খাস জমিতে (ভূমি) আমি অস্থায়ীভাবে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু এই জমি দখলের উদ্দেশ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাদ্রাসার বিরোধিতা করে।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ওই স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। আমি এটি পুনরায় চালুর উদ্দেশ্যে ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন করি। কিন্তু এর আগেই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসাটি ভাংচুর করে তারা এবং মাহফিলের দাওয়াতপ্রাপ্ত বক্তাদের সাথে অশোভন আচরণ করে। এতে করে মাহফিলটি বন্ধ হয়ে যায়।

সর্বাধিক পঠিত