মুক্তিযোদ্ধা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন চিরবিদায় নিলেন শাহরাস্তি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার রুহুল আমিন


যাদের বিনিময়ে বাংলাদেশ, জীবন বাজি রেখে যারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদেরই একজন শাহরাস্তি উপজেলার অতি পরিচিতজন মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন। অবশেষে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সবাইকে ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন (ইন্নালিল্লাহে---রাজেউন)। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তিনি সবসময় কাজ করে গেছেন। পায়ের ব্যথা নিয়ে একপা টেনে অসুস্থ শরীরেও তিনি মুকিযোদ্ধাদের টানে বাড়ি থেকে কখনো উপজেলায় কখনো চাঁদপুর ও ঢাকায় ছুটে বেড়িয়েছেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের যথাযথ সম্মান লাভ করবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বসার একটি ব্যবস্থা হবে। তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিনেই তিনি শেষ বিদায় গ্রহণ করেন। তার দাফনের দুঘন্টা আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ভবনটির শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। গত ১০ জানুয়ারি রাত দুইটায় তিনি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। ভোরেই তার মরদেহ তার নিজ বাড়ি আলীপুর তালুকদার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম তার বাড়িতে তাকে শেষবারের মতো দেখতে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুনতে পারবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় সকলে বিদায় নিয়ে চলে যাবে। তাই এখন উচিত প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। তার সুফল মুক্তিযোদ্ধাগণ পেতে শুরু করেছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার, পৌর মেয়র হাজী আঃ লতিফ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার শাহজাহান পাটওয়ারী।