• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

১ বছরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সফল

গ্রেফতার করেছে ১ হাজার ৪'শ ৯০ জন অসামি ২'শ ৬৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পন

প্রকাশ:  ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৪২ | আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৫১
চাঁদপুর প্রতিনিধি।।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর মডেল থানা কর্তৃক ২০১৯ সালে হাজারোধিক আসামীসহ প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকার অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ কর্মকর্তা জাহেদ পারভেজ চৌধুরী। তিনি চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(চাঁদপুর সদর সার্কেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, পুলিশের সব কাজ হিসেব থাকে। এমনকি থানার কোন পুলিশ অফিসার যদি বাইরে কোথাও অপারেশনে যায়।অথবা আসামী ধরতে যায় তাহলেও তাকে ওসি হতে সিসি নিয়ে যেতে হবে। তেমনি আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঠিক কি ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তারও একটা হিসেব আজ আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এক লিখিত হিসেবে জানান, ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯'শ ২৪ পিচ ইয়াবা, ৭ বোতল ফিন্সিডিল, ১ কেজি ১৬৫ গ্রাম গাঁজা, ১ বোতল হুইসকি, ১৮টি ক্লোরফর্ম ইনজেকশান, ৩৭৫ মিলি মদ, কোরেক্স ৩ বোতল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর সাথে নিয়মিত মামলায় ৯'শ ২ জন এবং অন্যান্য ৩৪ ও আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৪'শ ৯০ জন। যা নিয়ে কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে তার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, চাঁদপুর সদর মডেল থানায় সর্বমোট ২ হাজার ১'শ ৯৯ টি ওয়ারেন্ট তামিল ও অন্যান্যভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তার সাথে দিনরাত ২ হাজার ৫'শ ৫২ বার পেট্রোল করা হয়েছে। এসব প্রেট্রোলে অপরাধ দমনে ৬'শ ৬৫টি মামলা নিষ্পত্তি, ১ হাজার ৯'শ ৩টি অনুসন্ধান, ৪'শ ৮৬ টি ক্রোকি পরোয়ানা তামিল/জারী করস হয়েছে। এর সাথে ২'শ ১২ জন নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা ও ১৭টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা জাহেদ পারভেজ চৌধুরী চাঁদপুর সদর মডেল থানার বিভিন্ন দিক প্রশংসা করে বলেন, আমরা গুজব ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ, জাটক ও মা ইলিশ রক্ষা সহ বিভিন্নভাবে ২'শ ৬৪টি জনসচেতনতামূলক সভা করেছি। বিশেষ করে আমাদের মাদকবিরোধী বিভিন্ন সভায় এ পর্যন্ত মোট ২'শ ৬৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পন করেছে।

এ সময় তিনি বলেন, চাঁদপুর সদরে প্রায় ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার মানুষ বসবাস করছে। অথছ তাদের নিরাপত্তায় আমাদের রয়েছে মাত্র ১'শ ২০ জন পুলিশ। তবুও আমরা মানুষের সেবায় পিছিয়ে থাকিনি বরং অপরাধ দমনে যখন যা প্রয়োজন তাই করে যাচ্ছি। ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে আমরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এখন পর্যন্ত ৬৪টি সিসি ক্যামেড়া স্থাপন করেছি। যে জন্য শহরে অপরাধের মাত্র অনেকাংশে কমে এসেছে। সেই সাথে আমরা এখন পর্যন্ত ৫৭ জন বাড়ীওয়ালা, ১'শ ৪৮ জন ভাড়াটিয়া, ১২ টি মেচে ৮৪ জন সদস্যের তথ্য সংরক্ষণে রেখেছি। যা নিয়ে কাজ আরো চলমান রয়েছে। এ সময় চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ইন্সপেক্টর(অপারেশন্স এন্ড সিপিআই) আবদুর রব সহ ইলেকট্রনিক ও স্থানীয় এবং জাতীয় মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।