• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

পালবাজারে আবারো বৈদ্যুতিক শর্টসাকিট থেকে অগ্নিকান্ড॥ অল্পের জন্য রক্ষা

প্রকাশ:  ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের শতাধিক বছরের প্রাচীন ও  ঐতিহ্যবাহী পালবাজারে আবারো বৈদ্যুতিক সটসাকিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সৃস্টি হয়। পালবাজারে ব্যবসায়ী,বাজারে ডিউটিরত নাইগাইর্ড ও এক জন সংবাদকর্মীর পদক্ষেপের কারনে অল্পের জন্য রক্ষা পেল  পালবাজারের শত-শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি হোটেল বয় কিশোরের প্রান। তাৎক্ষনিক চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করায় ও পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা গ্রহন করায় ব্যবসায়িরা অগ্নিকান্ডের আতংকো ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা কল্পে স্বস্তি ফিরে পায়। ঘটনাটি ঘটেছে,গতকাল  শুক্রবার রাত  ১২টা ২১মিনিটে শহরের পালবাজার বকুলতলা রোডস্থ হুমায়ুন মাস্টারের আড়তে ও আড়তের সামনের বৈদ্যুতিক পিলারে। প্রত্যাক্ষদর্শিরা জানান,গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘুরি ঘুরি বৃস্টি পড়তে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা অনেকে রাত ১০টা পূর্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি-ঘরে চলে যান। এরই মধ্যে রাত অনুমান ১১টায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের হতে থাকে। রাত সাড়ে ১১টায় পালবাজারের বকুলতলা রোডস্থ  হুমায়ুন মাস্টারে আড়তের সামনের বৈদ্যুতিক পিলারে বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সুস্টি হয়ে হুমায়ুন মাস্টারের আড়ৎ ঘরের চালে ও আড়তের সামনের বৈদ্যুতিক পিলারে আগুন জ্বলতে থাকে । এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগকে আলোকিত বাংলাদেশ ও চাঁদপুর কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি মোহাম¥দ শওকত আলী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা একাধিকবার ফোন করে জানালেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এরই মধ্যে হঠাৎ ব্যাপক বৃস্টিপাত শুরু হয়। রাত ১২টা ২১মিনিটে বৃস্টিপাতের ফলে বকুলতলা রোডস্থ পানির কলের সামনের বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে থাকা ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের জিআই তারের সাথে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটের সৃস্টি হয়। যার ফলে ব্যাপক ভাবে অগ্নিকান্ডের সৃস্টি হয়ে আগুন লেগে যায়, হুমায়ুন মাস্টারের আড়ৎ ঘরের চালে ও পিলারে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ী ও বাজারের নাইটগার্ড সদস্যরা আগুন নিভাতে ব্যাপক চেস্টা চালায় ও বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করতে থাকে। হঠাৎ বৈদুতিক সর্টসার্কিটের সৃস্টি হয় বকুলতলা রোডস্থ খাওয়া-দাওয়া হোটেলে। হোটেলের কর্মচারী গ্লাসবয় মো: ফয়সাল(১৫) হোটেলের প্রবেশ পথে সাটারের স্লাইটে হাত দেওয়া মাত্র সে আটকে যায়। এরই মধ্যে চাঁদপুর বিদ্যুৎ স্টেশনে শওকতআলীর দেওয়া ফোনের কারনে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বকুলতলা রোডস্থ বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় বৈদ্যুতিক সর্টলেগেও প্রানে রক্ষা পায় হোটেলের কর্মচারী গ্লাসবয় মো: ফয়সাল। ফয়সালের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ভুঁইয়া বাড়ি। তার পিতার নাম মো: কিরন ভুঁইয়া। সে ৫ম শ্রেনীর ছাত্র, বাড়িতে পড়াশুনার চাপ দেওয়ায় সে চাঁদপুরে পালবাজারে এসে ১৫০টাকা ডেলি হাজিরায় গ্লাস বয়ের চাকরী নেয়। পরে পুনরায় নতুনবাজার বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করা হলে প্রচন্ড বৃস্টি উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ বিভাগের ৪জন কর্মচারী এসে কয়েক দফা বিদ্যুৎ বন্ধ ও চালু করে চেক করে দেখতে পায় বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে থাকা ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের জিআই তারের সাথে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটের কারনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটছে। তাৎক্ষনিক তারা সকল সর্টসাকিট সার্ভিস তার,জিআই তার,ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচিছন্ন করে দিয়ে পালবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষা করে। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও ব্যবসার্য়ীরা জানান,অবৈধ ভাবে ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের কারনে এ বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে বাজারটি অপ্লের জন্য রক্ষা পেল। এ ব্যাপারে পালবাজারের  ব্যবসার্য়ীরা ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগ কতটুকু বৈধতা রয়েছে তা’ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিয়ে দেখার জন্য জোর দাবী জানান। উল্লেখ্য গত প্রায় ১ বছর পূর্বে পালবাজারে বৈদ্যুতিক সর্টসাকিট থেকে আগুন লেগে বাজারের ব্যবসার্য়ীদের বড় ধরনের ক্ষতিসাধিত হয়েছিল