হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা


আসন্ন হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু দফা সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আনারস মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হাইমচর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মাঝির বাজারে আনারস মার্কার সমর্থক মোঃ নাছির গাজী ও নৌকার সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন সর্দারের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোঃ নাছির গাজী পিতা-মৃত মুনছুর গাজী বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সর্দারকে বিবাদী করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩/৭৫, তারিখ : ২৪/১২/১৯ খ্রিঃ।
হাইমচর উপজেলার তেলিরমোড় ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ৩০মিনিটের সময় নৌকার সমর্থক ও আনারসের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার পক্ষে মোঃ মনির হোসেন পাটওয়ারী পিতা-নূর মোহাম্মদ পাটওয়ারী বাদী হয়ে হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আঃ জলিল সরদারকে প্রধান আসামী করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪/৭৬।
এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালায় নৌকার মার্কার সমর্থকদের মারধর ও বেইনীভাবে জনতাবদ্ধ হওয়ার অভিযোগে হাইমচর থানায় মোঃ বাদশা সরদার পিতা মৃত কামাল সরদার বাদী হয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক মোঃ সউদ আল নাসেরকে ১নং আসামী করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫/১৬ জন অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫/৭৭, তারিখ : ২৪/১২/১৯ খ্রিঃ। হাইমচর উপজেলার নীলকমল মধ্যচরের ২৩ ডিসেম্বর আবুল হাসেম মাল নৌকা মার্কার প্রচার করতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কার লোকজন প্রচারে বাধা ও মারধরের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। হাইমচর থানায় আবুল হাশেম মাল পিতা-মৃত আব্দুল কাদের মাল বাদী হয়ে মোঃ নাছির গাজীকে ১নং বিবাদী করে ১৭জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬/৭৮, তারিখ ২৫/১২/১৯ খ্রিঃ।