• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

শারীরিক কসরতে প্রথম হয়েছে ফরাজিকান্দি আল-আমিন এতিমখানা

প্রকাশ:  ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার ভোর হতে বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধে মহান বিজয়ের স্মারক ভাস্কর্য অঙ্গীকার পাদদেশে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর সেখানে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ও পরে সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক। এরপর জেলা এবং উপজেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, স্কাউটস্, রোভার স্কাউটস্, গার্লস গাইড এবং শিশু-কিশোর সংগঠনের কুচকাওয়াজ ও প্যারেড পরিদর্শন এবং সালাম প্রদর্শন করা হয়। সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এরপর সেখানে শিশু-কিশোরদের শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শন এবং ক্রীড়ার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। শারীরিক কসরতে প্রথম হয়েছে মতলব উত্তরের ঐতিহ্যবাহী ফরাজিকান্দি আল-আমিন এতিমখানা। সকাল ১১টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
দিনব্যপী এ আয়োজনে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুধীমহল উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর স্টেডিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো লাখো বাঙালি। ১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। এ দিন বিশ^ মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। সেই বিজয়ের ৪৮তম দিবসে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্বরণ করছি স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও  যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনে জেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচীর কোনো কমতি ছিল না।
এ বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমে জনমত সৃষ্টির জন্যে আলোচনা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত/যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সু-স্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, সরকারি শিশু পরিবার, মুক ও বধির স্কুলে দুপুরে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। এছাড়া (দুুুপুর ২টা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এককভাবে/যৌথভাবে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের যুদ্ধ জাহাজ জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত রাখা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রোববার রাত থেকে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জায় সুসজ্জিত করা হয়।

 

 

সর্বাধিক পঠিত